সে দাপুটে ফ্যান-রেগুলেটর আর দেখিনা। সেগুলোর প্রতি মোচড়ে ছিল সুস্পষ্ট ঘটঘটাং; এক থেকে দুই, দুই থেকে তিন, তিন থেকে চার আর চার থেকে পাঁচের যাতায়াত ব্যাটসম্যানের মিডলস্টাম্প উড়ে যাওয়ার মত স্পষ্ট ছিল। এখন সব ফ্ল্যাটবাড়ির দেওয়ালে কী'সব যে ছাই শৌখিন আল্ট্রাস্মুদ বোরোলিনের টিউবের ছিপির সাইজের রেগুলেটর হয়েছে।
ফ্যানের স্পীড নভেম্বরি আরাম অনুযায়ী ম্যাক্সিমাম আর মিনিমামের মাঝে বিভিন্ন লেভেলে খেলা করবে, মনুসংহিতায় তেমনই লেখা আছে বলে মনে হয়। অথচ এই শৌখিন সব নিউ-এজ রেগুলটরের কান যেদিকেই মুলি ; ফ্যান হয় ফ্যান টর্নেডো হয়ে ঘোরে নয়ত টোটালি লেতকে পড়ে।
সামান্য ঘুম চোখে এ'সব "টাচ-মি-নট" রেগুলেটর মুচড়ে মাঝামাঝি অপটিমাম লেভেল খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। অগত্যা ফ্যানের স্পীড কন্সট্যান্ট রেখে গায়ের ওপর পাতলা চাদর, মোটা চাদর আর কাঁথা রেগুলেট করে দুপুর আর রাত কাটাতে হয়।
এ যে কী বিশ্রী ঝকমারি।
No comments:
Post a Comment