এ'টা পোস্ট করার উদ্দেশ্য একটাই৷ গোটা টিনটিন সিরিজ যে ফের একবার মন দিয়ে পড়ব বলে ঠিক করেছিলাম, সে'টা ভুলিনি। বরং দেখলাম বাড়তি সময় নিয়ে টিনটিন পড়ার সুবিধে হল এই যে ইচ্ছেমত গুগল করে ছোট ছোট কনটেক্সগুলো নিয়ে নতুন ভাবে ভেবে দিব্যি মাথা চুলকোনো যায়। দুঃসাহসী টিনটিনের বুদ্ধির ঝিলিক ও আর থমসন-থম্পসনকে নিয়ে পাঠকের ফুর্তিটুকুই যে এই বইগুলোর শেষ কথা নয় তা মোটের ওপর সর্বজনবিদিত কিন্তু প্রতিবারই অত কনটেক্সচুয়াল জাবর না কেটে সুটসাট বই শেষ হয় যায়৷ কিন্তু এ'বার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ; টিনটিন পড়ার সময় আর তাড়াহুড়ো নয়।
'৩৩য়ে লীগ অফ নেশনস থেকে জাপানের হুট্ করে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা মোটের ওপর অ্যাকিউরেটলি দেখানো হয়েছে '৩৬য়ে প্রকাশ হওয়া 'দ্য ব্লু লোটাস'য়ে। তবে মাঞ্চুরিয়া দখলে রাখার ব্যাপারটা অবশ্যই সোজাসুজি আলোচিত হয়নি।
এই প্রসঙ্গ ধরে ইউপিআই-য়ের আর্কাইভ থেকে একটা বেশ মশলাদার নিউজরিপোর্ট পড়া গেলো। তা থেকে সোজা কোট করি বরং;
"The stunned international conclave, representing almost every nation on earth, sat in silence while the delegation, led by the dapper Yosuke Matsuoka, clad in black, walked from the hall. The crowded galleries broke into mingled hisses and applause.
Japan's formal resignation from the league is expected to be filed later.
"We are not coming back," Matsuoka said simply as he left the hall.
The assembly's report, recommending that Japan withdraw her troops occupying Manchuria and restore the country to Chinese sovereignty, was adopted, 42 to 1, Japan voting against itpossible.".
Matsuoka, usually typifying the placid oriental diplomat, was nervous before he began his speech, and abandoned the text before he finished. He shouted from the rostrum:
"Japan will oppose any attempt at international control of Manchuria. It does not mean that we defy you, because Manchuria belongs to us by right.
"Read your history. We recovered Manchuria from Russia. We made it what it is today."
He referred to Russia, as well as China, as a cause for "deep and anxious concern" for Japan.
"We look into the gloom of the future and can see no certain gleam of light before us," Matsuoka declared.
He reiterated that Manchuria was a matter of life and death for Japan, and than no concession or compromise was possible."
(সম্পূর্ণ রিপোর্ট এই লিঙ্কেঃ https://www.upi.com/Archives/1933/02/24/Japan-stuns-world-withdraws-from-league/2231840119817/)
"ম্যাটার অফ লাইফ অ্যান্ড ডেথ"; মাঞ্চুরিয়া। মাইরি। আর এই দামামা-বাজিতে নাভিশ্বাস উঠেছিল চীনের। জাপানিরা যে চীনে অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে; এ'ব্যাপারটা মোটের ওপর যাকে বলে ওই 'ওয়েল-ডকুমেন্টেড'। যা হোক, সেই অত্যাচারের একটা ছবি ব্লু লোটাসে আছে বটে।
আর ওই টিনটিনের চ্যাংয়ের সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার পর তাদের কথোপকথনটুকু; চলতি ভাষায় আওয়াজ দিয়ে বলতে হয় "গোল্ড"। অথচ যেটুকু যা বুঝছি তা'তে অপরের সম্বন্ধে এমন টোটাল-অ্যান্টি-ধন-ধান্য-পুষ্প-ভরা সেন্টিমেন্ট পোষণ না করতে পারলে বোধ হয় নিজেদের দেশকে যথেষ্ট ভালোবাসা যায়না।
1 comment:
শেষ বাক্য টা কি অসাধারণ লিখেছেন! কুর্নিশ!
Post a Comment