আদতে আমি রোলে সস্ দেওয়ার সম্পূর্ণ বিরোধী নই৷ সমস্ত রোলই তো আর নিখুঁত হয়ে ওঠেনা আর আমার মতে রোলের ভুলভ্রান্তিগুলোকে ঢেকে ফেলতে সস্ ব্যাপারটা বেশ কাজে লাগে। মলাট ছেঁড়া বইতে প্রয়োজনে সেলোটেপ আঁটতে হবে বৈকি।
তবে যেই রোলে কামড় বসিয়ে মনে হবে যে এ'তে এক ফোঁটা সস্ পড়লেই সব মাটি;
প্রেমিক অমিত রে'র কবিতায় বকুলতলার ক্রিকেট কোচ লায়ন রে'র কোটেশনের মত,
ঘনাদার গল্পে টেনিদার ইয়াক ইয়াকের মত,
ফেলুদার নোটবুকে টুকে রাখা রেজালার রেসিপির মত,
দুর্দান্ত ডিবেটের মধ্যিখানে গুঁজে দেওয়া হোয়াটাবাউটারির মত;
অমনি বুঝে নিতে হবে যে সেই রোলই সার্থক ও নিখুঁত।
তেমন নিখুঁত রোল যে সহজে জোটে না ভাইটি। রোলের পরোটা দিব্যি ভাজা হতে হবে অথচ সামান্য নরমভাবটুকু না থাকলেই নয়, ভিতরের চিকেনকুচি তন্দুর থেকে তুলে সামান্য ভেজে নিতে হবে, পেঁয়াজ-লঙ্কা-নুন পড়বে চন্দ্র-সূর্যের হিসেব মেনে; এমন হাজারো বায়নাক্কায় সামান্য এ'দিক ও'দিক হলেই আমিরের "লাগান" মার্কা পার্ফেকশন উড়ে গিয়ে উঠে আসবে "মেলা" গোছের লম্ফঝম্প৷ আর সেই লম্ফঝম্প সামাল দিতেই প্রয়োজন হয় সসের।
সেই পার্ফেক্ট রোল খুঁজে পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। তবে খোঁজ পেলে একটা ব্যাপার নিশ্চিত জানবেন। নিখুঁত রোল-বানিয়ের কর্ম-ব্যস্ততাটুকু চাক্ষুষ করতে পারার মধ্যে একটা শীতের বিকেলের সমুদ্র দেখার মত নিবিড় ভালোবাসা জড়িয়ে আছে।
No comments:
Post a Comment