ভাই বংপেন,
শুভ নববর্ষ।
পয়লা বৈশাখটা দিব্যি কাটল। জলখাবারে ওই...খান পাঁচেক লুচিই খেলাম। সঙ্গে বেগুনভাজা, মাখা সন্দেশ আর বোঁদে। দুপুরের ব্যাপারটাও মোটের ওপর ছিমছামই ছিল; কষা মাংস, মৌরলার ঝাল আর মেজজ্যেঠিমার রেসিপিতে বানানো প্লাস্টিকের চাটনি। সন্ধ্যেবেলা নারকোল দিয়ে মুড়িমাখাটা বেশ মাখোমাখো হয়েছিল কিন্তু। নয়ত একবাটির বদলে আলগোছে সোয়া দুইবাটি সাবাড় হয়ে যায়?
ডিনারে জনা কয়েক বন্ধুর আবির্ভাব ঘটবে, তাই সাহস করে বিরিয়ানিটা বাড়িতেই বানিয়ে ফেললাম। থামস আপের বোতল আর রসগোল্লার হাঁড়ি অবিশ্যি বন্ধুরাই আনছে।
তা বন্ধুরা এসে পড়ার আগে ভাবলাম তোমায় দু'কলম লিখেই ফেলি। বয়সে যেহেতু আমি তোমার চেয়ে পাক্কা এক বছর বড়, তাই গায়ে পড়ে একটা উপদেশ দিয়ে এ চিঠি শেষ করি;
গত পয়লা বৈশাখের সন্ধ্যেবেলায় সাহস করে খোলা ম্যাগির সেই শেষ প্যাকেট, তার ঋণ কোনওদিনও ভুলো না। কেমন?
আশীর্বাদ নিও।
ইতি বংপেন।
পয়লা বৈশাখ, ১৪২৮।
No comments:
Post a Comment