- ভিক্টোরিয়া?
- ভিক্টোরিয়া। স্বপ্নে একেবারে জ্বলজ্বল করছিল।
- একে করোনায় গৃহবন্দী মনমেজাজ খারাপ। সবই বুঝি। কিন্তু তাই বলে স্বপ্নেও ক্লীশে ঘষবে গো?
- দ্যাখো বউ, হতে পারে ক্লীশে। তবু স্বপ্নটি জেনুইন৷
- জেনুইন?
- ছোটবেলার সুবাস নাকে এলো৷ এক্কেবারে মনকাড়া অ্যাফেয়ার।
- স্বপ্নে? সুবাস?
- তবে আর বলছি কেন। সে সুবাস রীতিমতো নাকের ভিতর সুড়সুড় করে গেল।
- তা সেই সুবাসের নেচারটা ঠিক কীরকম?
- ওই যে। বাগানের বেঞ্চিতে বসে স্টিলের টিফিন বাক্স খুলে লুচি আলুভাজা বের করার যে মনমাতানো গন্ধ? সেইটা।
- হবে না।
- ও মা। কী হবে না?
- এ'সব স্বপ্নের বাহার আমি বুঝি না ভেবেছ? রাতে চিকেন স্টু আর ভাত। গিলতে হয় গেলো, নয়ত ভিক্টোরিয়ার বেঞ্চিতে গিয়ে ছেলেবেলার কথা মনে করে বাতাস পকোড়া খাওগে।
- অমন কড়া সুরে বলতে নেই বউ৷ আলু আমি ভাজব। ময়দাও আমিই মাখব৷ তুমি শুধু বেলে দিও। গতজন্মে কী ভয়ানক পাপই না করে এসেছি; আমার হাতে বেলা লুচি কিছুতেই ছাই ফুলতে চায় না। সে এক ট্র্যাভেস্টি।
- উফফ। যত্তসব। একে লকডাউন তার ওপর যত আজেবাজে নেকু স্বপ্ন। প্রাণ ওষ্ঠাগত।
- শোনো বউ, রিয়েল এস্টেট যে'ভাবে ক্র্যাশ করছে তা'তে চার হাজার টাকা পার স্কোয়্যার ফিট দরে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের এক চিলতে বারান্দা বিক্রি হলে আশ্চর্য হব না। আর সে সু্যোগ এলেই পিএফ ভেঙে তোমার জন্য ভিক্টোরিয়ার আড়াইশো স্কোয়্যার ফিট বারান্দা কিনে নেব। প্রতি রোব্বার বিকেলে আমরা সে'খানে বসে মুড়িমাখা খেতে খেতে তাস খেলব।
- শোনো..তুমি ময়দা মাখো গিয়ে। আমি বেলে দেব।
- অহো বউ, তোমারেই করিয়াছি জীবনের ভিক্টোরিয়া।
1 comment:
বাঃ মশাই। কি চমৎকার ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন। সিকিউরিটির চোখরাঙ্গানিতে এই স্বপ্ন এজন্মে আর পূরণ হওয়ার নয় ভাবলেই মনটা কেমন...
Post a Comment