ভাজা মৌরির মত মুচমুচে প্রেমে ঢলে পড়তে পড়তে,
দুপুরের নিশ্চুপ পুকুরপাড়ে প্রেমিকার হাত টেনে ধরে,
উত্তম বলেছিলেন
"শোনো, তুমি আমাকে বলো; ফারুক শেখ"।
**
লাইনের শুরুতেই দাঁড়িয়েছিলেন অমিতাভ।
অথবা অমিতাভ দাঁড়িয়েছিলেন বলেই যেন সে লাইনের জন্ম। কিন্তু খানিক পরেই ভুল ভাঙল অমিতবাবুর। আর ভুল ভাঙতেই শ্যামলবাবুর গানের সুর তাঁর প্রাণে এসে ঠেকলো; " ও মন কখন শুরু কখন যে শেষ, কে জানে"।
কারণ ততক্ষণে তিনি টের পেয়েছেন যে ওই মাদুরে গা এলিয়ে বসা মায়াবী মানুষটিকে স্পর্শ করে এমন সাধ্যি কোনও লাইনেরই নেই।
"T9999 - ওয়াহ্, ফারুকসাহাব। ওয়াহ্" বলে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন অমিতাভ।
**
ট্রেন ছুটছিল? ছুটছিল।
এক প্ল্যাটফর্ম মানুষ থমকে ছিল? বিলকুল।
চলন্ত ট্রেনের একটা দরজায় শাহরুখ অস্থির হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন? ছিলেন, দাঁড়িয়ে ছিলেন এক খতরনাক ধুকপুকের বোঝ বুকে নিয়ে।
সে আসবে৷ ছুটে আসবেই। তাকে ছুটে আসতেই হবে।
কিন্তু ছুটে আসা প্রেমিকাকে দেখার আগেই ঘটে গেল গোলমালটা। প্ল্যাটফর্মের এক পানের দোকানের সামনে দাঁড়ানো, সাদা কুর্তায় উজ্জ্বল, খোশমেজাজি মানুষটির দিকে তাকিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ শাহরুখ নেমে পড়লেন;
"আরে, ফারুকবাবু না"?
**
উড়ে আসা সানগ্লাস ঐশ্বরিক ঘ্যাম নিয়ে গ্রহণ করলেন রজনীকান্ত। আচমকা ভেসে আসা একটা বেপরোয়া বুলেটকে টুথপিক ছুঁড়ে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়ে করে বাহবা কুড়োলেন তিনি৷
আর ঠিক তখনই..
পড়া থামিয়ে,কবিতার বইটা বুকের ওপর রেখে,
একটা শিস্ দিলেন ফারুকবাবু।
সে শিস্ শুনে দিকভ্রান্ত বুলেটটি ফারুকবাবু কাছে এসে পোষা মৌমাছির মত ভনভন শুরু করলে৷
শেখসাহেবের বড় মায়া, শুধোলেন;
"তুমি কি বারুদ ছেড়ে সঞ্জীবে ঝুঁকেছ বাবু"?
No comments:
Post a Comment