১। গসিপের তুলনায় রসগোল্লা হল খটখটে বাটখারা মত।
২। সাহিত্য, সিনেমা, খেলা, সঙ্গীত; এ'সব নিয়ে ভিডিওকলে আড্ডা দেবে প্যারিসের নিখিলেশ আর পাগলাগারদের রমা রায়। আগন্তুক সিনেমার প্রডিগাল মামার 'ভালো আড্ডা' বিষয়ক ওপিনিওনকে আমি ফেসবুক-স্যেলুট জানাতেই পারি। কিন্তু লজিক বহির্ভূত খিস্তি ছাড়া আড্ডায় খুশির তুফান ওঠে না। উঠতে পারেনা।
৩। টেনিদা লেভেলের যুক্তিনিষ্ঠা নিয়ে শার্লক-মেজাজে ধারালো হিসেব কষব। ফড়িং-লেভেলের দম নিয়ে কমল মিত্তিরের মত চেবানো-সারকাজম ছুঁড়ব। ঘ্যাম তা'তেই।
৪। এইত্তো সে'দিন৷ মিনিবাসে মেজমামার পকেটমার হল। এর থেকে আমি স্পষ্ট বুঝতে পারব;
এক, মেজ মাত্রই অসতর্ক। মেজদা, মেজপিসি, মেজকা; প্রত্যেকে আদতে কেয়ারলেস ক্যালানে।
দুই, মিনিবাসে যে কারুর মামা উঠলেই মানিব্যাগ গায়েব হতেই হবে। এ নিয়ে মিনিমাম আড়াই দিন চিৎকার চ্যাঁচামেচি করব। কেউ বেশি আপত্তি করলে এপিজে আবদুল কালামের 'মিনিবাসে-ওঠা-মামাদের মানিব্যাগ খোয়া যাবেই' মার্কা কোটেশন ছুঁড়ে মারব।
৫। নিজের মনের মধ্যে যে কুচুটেপনাগুলো আছে, মাঝেমধ্যেই সেগুলোর মাথায় হাত বোলাব। দুধভাত মেখে তাদের খাওয়াব৷ বাবুসোনা বলে আদর করব। আর সু্যোগ পেলেই সে কুচুটেপনাগুলোকে অন্যদের পিছনে লেলিয়ে দেব। ব্যাপারটা যাকে বলে ডীপলি স্যাটিসফায়িং৷
৬। 'ফ্যাক্ট' সম্বন্ধে নিশ্চিত না হয়ে কাউকে গাল পাড়ব না? ছোহ্। এ থিওরি যারা কপচায় তারা হল মদে মেশানো জেলুসিল, অষ্টমী সন্ধ্যেজোড়া বৃষ্টি, গলায় ঝোলানো ফেসমাস্ক বা প্রেমের চিঠিতে জ্যামিতির থিওরেম; আগাগোড়াই বিষাক্ত।
No comments:
Post a Comment