১। ঢাউস একখানা অ্যালার্ম ঘড়ি। যে ঘড়ির দিকে তাকালেই ঘুমটুম উড়ে যায়। যে ঘড়ি মাথার কাছে রেখে চোখ বুজলেই বুকে ঢিপঢিপ; এই বুঝি বোমা ফাটল। যে ঘড়ির অ্যালার্ম শ্যামবাজারে বাজলে গোলপার্কের ঝিমোনো মানুষজন চমকে ওঠে।
২। ব্যাকআপ অ্যালার্ম; "দিদা, বাই চান্স অ্যালার্মটা ফেলে করলে একটু ডেকে দিও"। কম্যুনিস্ট দাদারাও এ'দিনটায় মার্ক্স ত্যাগ করে কালচারের তাড়নায় দিদিমাদের দিকে ঘেঁষতেন।
৩। রেডিও। বোনাসঃ আগের দিন সন্ধ্যেয় কাটলেট সহযোগে ফ্রিকুয়েন্সি টেস্টিং।
৪। ব্যাকআপ ট্রানজিস্টার। ব্যারাকপুরের মেসো বারবার বলতেন, পলিটিশিয়ান আর যন্ত্রপাতিদের চোখ বুজে ভরসা করতে নেই।
৫। চানাচুর। ভোরবেলা ঝাল চানাচুর হল চাউমিনে পোস্তর সমান। দরকার হল টকমিষ্টি চানাচুর। বাটি অপ্রোয়জন, বয়াম থেকে ডাইরেক্ট মুঠো করে তুলে নেওয়াটাই ট্র্যাডিশন। তারপর দুলে দুলে বীরেন্দেবাবুর সুরে তাল দিয়ে চেবানো।
৬। চা। কাপে হবে না। সাপ্লাইলাইন দাঁত খিঁচোবে৷ ফ্লাস্কে ভরে নিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে বসাটাই যুক্তিযুক্ত।
৭। প্রথম দু'মিনিট শোনার পর। গলায় উত্তেজনা! "ভদ্রবাবুর ভয়েসে যে কী ম্যাজিক! দ্যাখ দ্যাখ। এই দ্যাখ। গায়ে কাঁটা দিচ্ছে"।
৮। দশ মিনিট শোনার পর। মোলায়েম আবেগ এসে চেপে ধরবে, "মা আসছেন"।
৯। পনেরো মিনিট শোনার পর। "এ কী রে মেজদা। ঘুমোলি নাকি? আদত ইয়েটা তো সবে ইন্টেন্সিফাই হচ্ছে"।
১০। কুড়ি মিনিট পর - "চোখটা না..লেগে আসছে৷ তাছাড়া এইচএমভির ক্যাসেটজোড়া তো আছেই। বেলার দিকে লুচি বেগুনভাজা খেতেখেতেই না হয়.."।
No comments:
Post a Comment