Saturday, November 7, 2020

দড়ি


- ও দাদা..দাদা গো৷ ও দাদা।

- কী চাই?

- ওই দড়িটা..একটু ধরব?

- সে কী৷ ভূতের মুখে রামনাম যে৷ তা, তোমার এই দড়িতে কাজ কী? তুমি তো বিপক্ষ শিবির৷ উলটে তোমার তো উচিৎ  আমাদের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া। 

- বিপক্ষে? তা বটে। পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া? সে'ও হবে'খন৷ তবু৷ তার আগে৷ দাদা গো, একটু ধরে দেখব? দড়িটা?

- মতলবটা কী বলো তো ভায়া? তোমার ভাবগতিক তো সুবিধের ঠেকছে না।

- দড়িটা বড়..বড় ভালো৷ ধরি না একটু। একটু ছুঁয়ে দেখব।

- বেশ৷ ধরো। তবে ধান্দাবাজি ফলালে ভালো হবে না।

- আমার কলজেতে জোর নেই৷ ধান্দাবাজি ছাড়া আমার গতিও নেই৷  তবে দড়িটা একটু ছুঁয়ে না দেখলেই নয়। মনটা বড় হ্যাঁচোড়প্যাঁচোড় করছে গো দাদা 

- বেশ৷ এই ধরো৷ হাত লাগাও ভায়া।

- এই৷ এই যে৷ আহ্৷ ছুঁয়ে এক্কেবারে ঝিলিক লাগছে যে হাতে৷ 

- জোরসে ধরো না হে৷ জোরসে৷ লজ্জা কীসের।

- লজ্জার কিছুই নেই৷ তাই না? 

- কিছুমাত্র না৷ এই তো চাই।

- শুধু কলজেটা বুঝলে দাদা..কলজেটা একটু কেঁপে কেঁপে উঠছে..। 

- কলজেই তো৷ শিখিয়ে পড়িয়ে নিলেই হবে'খন৷ খামচে ধরো দেখি দড়িখানা৷ 

- ধরি৷ জোর লাগিয়ে৷ কী বলো?

- একদম।

- ইয়ে দাদা..টেনে দেখব?

- দড়িতে টান? সে'টা কলজেতে সইবে? ভায়া?

- টেনেই দেখিনা...ইয়ে৷ দাদা? হবে নাকি? খানখান?

- সাহস করে এগিয়ে এসেছ৷ হবে না কেন?

- যদি না হয়?

- আজ না হোক৷ কাল হবে৷ দড়িটা তো মিথ্যে নয়৷ ছুঁয়ে দেখলে তো। 

- তাই তো৷ খানখান হলে ভালো, না হলেও ভেসে তো যাচ্ছিনে৷ দড়ির টানে আমার হেঁইয়োটুকু অন্তত লেগে থাকবে৷ তাই বা কম কীসের৷ 

- এসো ভায়া৷

- বাঁচালে গো দাদা৷ বাঁচালে৷ 

No comments: