- ও দাদা..দাদা গো৷ ও দাদা।
- কী চাই?
- ওই দড়িটা..একটু ধরব?
- সে কী৷ ভূতের মুখে রামনাম যে৷ তা, তোমার এই দড়িতে কাজ কী? তুমি তো বিপক্ষ শিবির৷ উলটে তোমার তো উচিৎ আমাদের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া।
- বিপক্ষে? তা বটে। পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া? সে'ও হবে'খন৷ তবু৷ তার আগে৷ দাদা গো, একটু ধরে দেখব? দড়িটা?
- মতলবটা কী বলো তো ভায়া? তোমার ভাবগতিক তো সুবিধের ঠেকছে না।
- দড়িটা বড়..বড় ভালো৷ ধরি না একটু। একটু ছুঁয়ে দেখব।
- বেশ৷ ধরো। তবে ধান্দাবাজি ফলালে ভালো হবে না।
- আমার কলজেতে জোর নেই৷ ধান্দাবাজি ছাড়া আমার গতিও নেই৷ তবে দড়িটা একটু ছুঁয়ে না দেখলেই নয়। মনটা বড় হ্যাঁচোড়প্যাঁচোড় করছে গো দাদা
- বেশ৷ এই ধরো৷ হাত লাগাও ভায়া।
- এই৷ এই যে৷ আহ্৷ ছুঁয়ে এক্কেবারে ঝিলিক লাগছে যে হাতে৷
- জোরসে ধরো না হে৷ জোরসে৷ লজ্জা কীসের।
- লজ্জার কিছুই নেই৷ তাই না?
- কিছুমাত্র না৷ এই তো চাই।
- শুধু কলজেটা বুঝলে দাদা..কলজেটা একটু কেঁপে কেঁপে উঠছে..।
- কলজেই তো৷ শিখিয়ে পড়িয়ে নিলেই হবে'খন৷ খামচে ধরো দেখি দড়িখানা৷
- ধরি৷ জোর লাগিয়ে৷ কী বলো?
- একদম।
- ইয়ে দাদা..টেনে দেখব?
- দড়িতে টান? সে'টা কলজেতে সইবে? ভায়া?
- টেনেই দেখিনা...ইয়ে৷ দাদা? হবে নাকি? খানখান?
- সাহস করে এগিয়ে এসেছ৷ হবে না কেন?
- যদি না হয়?
- আজ না হোক৷ কাল হবে৷ দড়িটা তো মিথ্যে নয়৷ ছুঁয়ে দেখলে তো।
- তাই তো৷ খানখান হলে ভালো, না হলেও ভেসে তো যাচ্ছিনে৷ দড়ির টানে আমার হেঁইয়োটুকু অন্তত লেগে থাকবে৷ তাই বা কম কীসের৷
- এসো ভায়া৷
- বাঁচালে গো দাদা৷ বাঁচালে৷
No comments:
Post a Comment