- মামা, চললাম ভ্যাকেশনে৷
- ভ্যাকেশন?
- ইয়েস স্যার৷ ঝাড়া দু'হপ্তা৷
- অফিস ছুটি দিলে?
- আরে ছুটি নিতেই হবে বলে বসের কী ঝোলাঝুলি৷ ক'দিন কোথাও ঘুরে না আসলে নাকি আমার প্রডাক্টিভিটি অপটিমাইজ করা যাবে না৷
- তা চললি কোথায়?
- বহু দূর৷ ক'টা দিন আরামে কাটানো যাবে - এই অসহ্য নিস্তব্ধতা থেকে হাজারখানেক মাইল দূরে৷ এ'কদিন শুধু হইচই গোলমাল আর হট্টগোল৷
- আহ! পিসফুল৷ ডেস্টিনেশনটা কোথায় রে ভাগ্নে?
- কী হিংসে হচ্ছে নাকি মামা? তবে আরও শোনো। সে'খানে বাতাস এমন ম্যাড়মেড়ে নয়৷ এ'খানের বাতাসে শ্বাস নেওয়া যায় নাকি ছাই? শুধু অক্সিজেন আর অক্সিজেন৷ ধুর ধুর৷ ক'দিন একটু ধুলোবালি বুকে নিয়ে রিল্যাক্স করব৷ আর সবচেয়ে বড় কথা মামা, বুক ভরে নিঃশ্বাস নিলেই টের পাবো পোড়া পেট্রোলের সুবাস৷
- এক্সটিক ব্যাপার তো রে।
- অফ কৌর্স৷ তাছাড়া এত নিরিবিলি মামা, প্রাণ এক্কেবারে হাঁপিয়ে উঠছিল৷ আর মাইলের পর মাইল হেঁটে গিয়েও মানুষজনের দেখা মেলেনা এখানে৷ ছ্যাঁহ্৷ ছুটিতে গিয়ে ভীড় ছাড়া একটি পা'ও এগোনো নয়৷
- আরিব্বাস ভাগ্নে৷ শহর চললি নাকি?
- যে'সে শহর নয় মামা। এক্কেবারে মেট্রোসিটি৷ সে'খানে কয়েকদিন স্রেফ রিল্যাক্স করা৷ শশব্যস্ত হয়ে দৌড়ঝাঁপ, ট্রেনেবাসে ঝুলোঝুলি; ব্যাস৷ ক'দিন পরেই তো আবার সেই আলসেমিতে ফিরে আসতেই হবে৷
- মাইরি রে ভাগ্নে৷ এই ম্যাদামারা বরফ ঢাকা পাহাড়ে থেকে থেকে প্রাণ আইঢাই করে ওঠে রে৷ ভাবছি ঝুলে পড়ব তোর সঙ্গে৷ শহরে গিয়ে কিছুদিন যোগনিদ্রায় না কাটালেই নয়৷
No comments:
Post a Comment