- এ কী! এ'সব কী দেখাচ্ছে মামা?
- খবর পড়ছে।
- খবর? ও'টা খবর পড়া?
- লেট নাইনটিন এইটিজ তো। তখন এ'টাই ছিল স্টাইল৷
- তুমি শিওর মামা? এ'টা খবরই পড়ছে?
- হান্ড্রেড পার্সেন্ট। একসময় নিজের চোখে দেখেছি এ'সব৷
- নাহ্৷ কিছু একটা গোলমাল হচ্ছে৷
- স্পষ্ট শুনছিস তো৷ রয়েসয়ে খবরাখবর পড়ে জানাচ্ছে।
- এমন নিরামিষ মোডে?
- সে'সব গোলমেলে সময় ছিল রে ভাগ্নে৷ পাতে তখন আমিষ থাকলে কেউ গাঁইগুঁই করত না, অথচ খবরে টোটাল নিরামিষ।
- স্ট্রেঞ্জ। রীতিমত অ্যানার্কি তো!
- টোটাল৷
- এ'টা কোনও খবর পড়া হল? প্যানেলিস্ট কই?
- নেই৷ শুধু নিউজরীডার।
- লে হালুয়া৷ তা'হলে ঝগড়া-খামচাখামচি করবে কারা?
- ও'সব ছিল না রে ভাগ্নে৷ স্রেফ ম্যাদা মেরে যাওয়া সুরে খবর পড়ে যাওয়া৷
- প্যানেলিস্ট না থাকলে, সঞ্চালক চেল্লাবে কার ওপর? চেল্লানো না হলে খবরটা স্মুদলি পরিবেশিত হবে কী করে! আউটরেজাস৷ আর মামা, সঞ্চালক রেগেমেগে কথা বলছে না কেন?
- কী আর বলব রে, সে'সব প্রিহিস্টোরিক এরা। ম্যাড়মেড়ে খবর পড়াই তখন রীতি৷ আদত ইভোলিউশন হল তো তার পরে৷ মিউমিউ খবরের ঘুমপাড়ানি কাটাতে এলো অ্যাকশন-প্যাকড, ঝগড়ায় ভরপুর- রগরগে মেগাসিরিয়াল। আর সে মেগাসিরিয়ালকে ডেসিবেল-মাত দিয়ে তৈরি হলো আধুনিক নিউজরুম।
- থ্যাঙ্কগড, দ্য এজ অফ ঘ্যানঘ্যানানি-নিউজ ইজ ওভার!
- থ্যাঙ্কগড, কলারটানাটানি কালচার ইজ দ্য নিউনর্মাল!
**
(মূল ছবিটা @IndiaHistoryPic ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে পাওয়া)।
No comments:
Post a Comment