দেখাসাক্ষাৎ তো দূরের কথা, বহু বছর সে ব্যাটাচ্ছেলের সঙ্গে কথাবার্তাই নেই। ' আউট অফ দি ব্লু' সে বন্ধুটির ফোন পেয়ে চমকে গেছিলাম।
এদ্দিন পর?
কী ব্যাপার?
প্রথমত, মতলবটা কী?
"মতলব" শব্দটা বাংলায় ব্যবহৃত হলে ব্যাপারটা বেশ গোলমেলে৷ মনে একটানা যে'সব জিলিপির প্যাঁচ জেনারেট হয়ে চলেছে, সে'সব মূলত মতলব-সন্ধানি, সন্দিগ্ধ৷ বস মিষ্টি হেসে কথা বললেন কেন? নিশ্চয়ই কোনও মতলব আছে৷ দোকানি অমায়িক সুরে গল্প জুড়লেন কেন? নিশ্চয়ই ওজনে কম দেওয়ার মতলব৷
দ্বিতীয়ত,আশঙ্কা৷
অসহায় হতচ্ছাড়া গলা-টেপা আশঙ্কা৷ এ'সময়ে যে'টা করোনার চেয়েও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে৷ আবার কি কেউ চলে গেল? দড়াম করে শুনব কোনও সুস্থ সবল সুপরিচিত মানুষ আর নেই? হুঠ করে মনে পড়বে শেষবারের দেখা হওয়াটা? এ তো এখন দৈনিক ড্রিল; এক আত্মীয় ফোন করে জানাচ্ছেন অন্য আত্মীয়ের চলে যাওয়া, এক বন্ধু জানাচ্ছে অন্য বন্ধুর ব্যাপারে কোনও দুঃসংবাদ অথবা কোনও সহকর্মী জানাচ্ছেন যে শত চেষ্টা করেও আর এক সহকর্মীকে টিকিয়ে রাখা গেল না৷
কিন্তু, এই বন্ধুটি ফোন তোলা মাত্রই সপাটে জিজ্ঞেস করলে;
"সাবধানে আছিস তো?
তুই কি এখনও বরফ ঠাণ্ডা জলে স্নান করিস ভাই?
গোলমেলে সময় বুঝলি; বুকে ঠাণ্ডা বসলেই গোলমাল। বি কেয়ারফুল"।
অযাচিত ভূমিকা নেই,
ইতস্ততভাব নেই।
সোজা সহজ সুরে, "সাবধানে আছিস তো"?
যেন মাঝের কথা-না-বলা বছরগুলো ছিলই না।
নাহ্, আমরা একা নই।
No comments:
Post a Comment