"Maajhraats are khataraak" - Lerlogg Algomi
***
মদের নেশা শুনেছি লেবুজলে কাটানো যায়৷ কিন্তু রাত্রের বিটকেল মুহূর্তে "কলকাতা কদ্দিন যাইনা"-মাথা ঝিমঝিমের কোনও সহজ চিকিৎসা আছে বলে আমার জানা নেই৷
প্রথমেই, প্যারামাউন্টের ডাবের শরবত আর কলেজ স্কোয়্যার ক্যান্টিনের স্টু-পাউরুটি মেলানো মেশানো যৌবন-স্মৃতি মনে ঘা দিল৷ মনকেমনের পাশাপাশি চাগাড় দিল ধারালো খিদে।
তারপর সে' স্টু-পাউরুটির সুবাস থেকে মন সোজা গিয়ে পৌঁছল বেহালা। ট্র্যাফিক জ্যামে দাঁড়িয়ে এফএমের অসহ্য বিজ্ঞাপন মুখস্থ করার ব্যাপারটাও সুখস্মৃতি বলে ঠেকল৷ মেট্রো-প্রতিশ্রুতি ঝোলানো খুড়োর কল মার্কা পিলারগুলোও বড় আপনার ঠেকল; হোক অকাজের, তবু আপন তো৷
এরপর মন গেল গড়িয়াহাট৷ ইলিশের দাম শুনে ব্যাজার হয়ে এসে দাস কেবিনে বসা৷ সে প্যাথোসের নাগাল পাবে এমন আধুনিক কবিতা লেখার বান্দা এখনও তৈরী হয়নি৷
ঢাকুরিয়া চত্ত্বরে অফিস ছিল, অফিসের মায়া কতটা টানে জানিনা৷ তবে অফিসের কয়েকজন জানালার সঙ্গে সবিশেষ আলাপ জমেছিল৷ তাদের কথা ভেবে মন সামান্য আলুথালু। আর সে জানালা বাবাজীদের মাধ্যমে আলাপ জমেছিল ঢাকুরিয়ার আকাশের সঙ্গে৷ সে আকাশ ছিল আমার বেণীমাধব শীল৷ কোন বিকেলে জিলিপি খাবো, কোন বিকেলে চপ, কোন দিন অফিস ফেরতা সুমন শুনব আর কোনদিন ইয়ারদোস্তদের ফোন করে "কী খবর রে, কদ্দিন কথা হয় না" গালগল্প জুড়ব; এ সমস্তই আগাম বাতলে দিত ঢাকুরিয়ার আকাশ৷
গোলমেলে সময়৷
ঢাকুরিয়ার আকাশ, প্যারামাউন্ট, বেহালা মেট্রোর পিলার আর গড়িয়াহাটের ইলিশ যেন ভেবে না বসে যে ওয়ার্ডেন ক'দিনের জন্য বাইরে গেছে বলে তারা সাপের সাতান্ন পা দেখবে৷
No comments:
Post a Comment