বিরিয়ানির উল্লেখ ছাড়া ওয়াজিদ আলি শাহ, লখনৌ আর মেটিয়াবুরুজ একটা জবরদস্ত বই লিখেছেন শ্রীপান্থ। বিরিয়ানি ভক্ত হয়েও বলতে পারি সে'টা একটা প্লাস পয়েন্ট। কারণ একবার বিরিয়ানির আলোচনায় ঢুকে পড়লে বাঙালি পাঠকের ফোকাস ডকে ওঠার সম্ভাবনা।
সে'সময়ের লখনৌয়ের আড়ম্বর, তেহজিব আর বাদশাহী রসবোধ সম্বন্ধেও ধারণাটা বেশ খানিকটা স্পষ্ট হল (বলা ভালো, মাথা ঘুরে গেল)। একের পর এক ট্রিভিয়া সাজিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে শ্রীপান্থর জুড়ি মেলা ভার, এ বই সে'দিক থেকে টানটান।
তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ওয়াজিদের চরিত্র যে কতটা ইন্ট্রিগিং, তা মালুম হল। তাঁর চরিত্রের বেশ কিছুদিক নিয়ে এর আগে তেমন মাথা ঘামাইনি কখনও; যেমন শাসক ওয়াজিদ আলি কেমন ছিলেন? সত্যিই কি অপদার্থ ছিলেন নাকি কোম্পানির বদমায়েশিটাই আদত ব্যাপার? এ বই পড়ে সে'সব বিষয়ে খানিকটা জ্ঞান অর্জন করা গেল বটে। আর তৈরি হল আগ্রহ; ওয়াজিদ আলির শাহয়ের ব্যাপারে আরও বিশদে খানিকটা না পড়লেই নয়।
এ বই থেকে একটা ছোট্ট অংশ কোট করতে পারার লোভ সামলাতে পারলাম না। রইলঃ
** কোট **
১৮৫৫ সালে কিছু মোল্লার নেতৃত্বে অযোধ্যায় হনুমান মন্দিরের কাছে একটি মসজিদ গড়ার জন্য আন্দোলন শুরু হয়৷ আন্দোলনকারীদের বক্তব্য ছিল, সেখানে মাটির তলায় একটি মসজিদ চাপা পড়ে আছে৷ দাঙ্গা হাঙ্গামার উপক্রম।
...
...
(শান্তি রক্ষার জন্য) ওয়াজিদ আলির সমস্ত উদ্যোগ ব্যর্থ হল৷ ৭ নভেম্বর, ১৮৫৫ সন। মুসলিম ধর্মযোদ্ধারা এগিয়ে চললেন হনুমানগড়ের দিকে৷ তাঁদের মুখোমুখি দাঁড়ালো অযোধ্যার বাদশা ওয়াজিদ আলির ফৌজ। যে করে হোক হিন্দু মন্দিরের ওপর আক্রমণ প্রতিহত করতে হবে, মুসলমান শাসক এ ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
**
(রক্তক্ষয় ভালোই হয়েছিল, দু'পক্ষেই৷ তবে ওয়াজিদের ফৌজ রুখে দিয়েছিল সেই ধর্মযোদ্ধাদের)
No comments:
Post a Comment