সব চুকেবুকে গেলে, লঞ্চে চড়ে হাওয়া খেতে বেরোনো যাবে।
সে টিকিটঘর দেশলাই বাক্সের চেয়ে সামান্য বড়।আর সেই টিকিট যেমন সরু, তেমনই পাতলা - সামান্য অসাবধান হলেই বাবাজী ফুড়ুৎ।
দাঁড়ানো লঞ্চে হ্যাংলার মত উঠে পড়ার মানেই হয় না। ছুটির বিকেল খরচ হবে রসিয়ে রসিয়ে৷ জেটিতে এসে আগে দরকার এক ঠোঙা ঘটিগরম। সুখা মুখে জেটিতে বসে থাকা মানে ইডেনের গ্যালারিতে বসে এলসিএম জিসিএম কষা- সে অন্যায় ঘটতে না দিলেই মঙ্গল।
লঞ্চ ছেড়ে চলে গেলেই জেটির ব্যাস্ততা হাওয়া। তখন একটু নজরুল আর অল্প আর ডি বর্মন গুনগুন করা যেতেই পারে। গলায় সুর না থাকলেও, মন এক্কেবারে নিয়মিত রেওয়াজ করা ওস্তাদ।
মুখে গঙ্গার মিঠে বাতাস, পকেটে পুরনো চিঠি। দু'একটা সস্তা চুটকি মনে পড়ায় হুট করে হেসে ফেলাই যাবে। রোব্বারের বিকেলের জেটির আশ্রয়ে কাউকে তো আর কৈফিয়ৎ দেওয়ার নেই৷
একসময়, ও'দিকের ঘাট ছুঁয়ে লঞ্চ ব্যাটা ফের এসে জুটবে। অমনি জেটিতে ব্যস্ততার হাওয়া। লঞ্চে ওঠার মুখেই মোবাইল বেজে উঠবে হয়ত। ফোনার ওপার থেকে অফিসের কোনও তাবড় কর্তা জিজ্ঞেস করবেন, "কোথায় আছ মুকর্জি"?
ঘটিগরম আর নজরুলে পুষ্ট উত্তর যাবে তৎক্ষনাৎ, "জিমে ঢুকছিলাম যে। সানডে এইসময়টা আই ইনভেস্ট ইন মাইসেল্ফ"।
No comments:
Post a Comment