কর্পোরেট লীডারশিপের বাংলা তর্জমা হয়না৷ হওয়া উচিৎও নয়৷ এই ব্যাপারটা মূলত দু'রকমের৷ প্রথম ধরণেরটা পাওয়া যায় পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এবং বক্তৃতায়৷ সে'খানে লীডারশিপ ব্যাপারটা ভরপুর বিভিন্ন গা-কাঁপানো শব্দে৷ অবশ্য এ ক্ষেত্রে, শব্দ মানে নিরেট 'সাউন্ড'; যেমন 'এমপ্যাথি' বা 'কমপ্যাশন', 'ইমোশনাল কোশেন্ট' ইত্যাদি৷
এরপর রয়েছে আদত কর্পোরেট লীডারশিপের ফল্গুধারা যার তুলনা স্রেফ সাঁড়াশির সঙ্গে চলতে পারে৷ এ জিনিস অবশ্য পাওয়ারপয়েন্টের বাজারে অচল। এই জবরদস্ত লীডারশিপ দিয়ে নিজের 'পয়েন্ট'গুলো, বোধ- বুদ্ধি-যুক্তি নির্বিশেষে অন্যদের ওপর 'পাওয়ার'ফুলি চাপিয়ে দেওয়ার যায়৷ এ'দিয়ে চিমটিও কাটা যায় আবার টাইটও দেওয়া যায়৷
এ প্রসঙ্গে বলি বলি, টাইট দিতে পারাটা একটি সুবৃহৎ কর্পোরেট 'কোয়ালিটি'৷ হাজার রকমের প্রেজেন্টেশন, পেপটক বা সেমিনার দিয়ে এ পরম সত্যকে ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব নয়৷ প্রসেস স্ট্রিমলাইন করতে চেয়ে সিস্টেম ওলটপালট করতে যাওয়া মানে বিস্তর খাটুনি। তার চেয়ে বরং দু'এক পিস এলেবেলেকে টাইট দেওয়াটা অনেক বেশি সহজ আর উপাদেয়৷
দেখুন, ভবিষ্যতের জন্য কী ভালো, দশের জন্য কোনটা উপকারি, কোন রিস্কগুলো আজ না নিলেই নয়; সে'সব নিয়ে বেশি মাথা ঘামালে রিভিউ মিটিংয়ে অস্বস্তি বাড়বে বই কমবে না৷ এর চেয়ে জমাটি হল টাইট দেওয়া-নেওয়ার গালগল্প৷ এক্সেলেন্সের দাবীর চেয়েও বেশি কাজ দেয় টাইট দেওয়ার হুমকি৷
টাইটেই উত্তরণ।
No comments:
Post a Comment