- আপনি তো ক্যালকেশিয়ান দেখছি৷
- বর্ধমান৷
- ওই হল৷ হিমাচলে বসে পুরো বেঙ্গলটাই তো ক্যালক্যাটা৷
- আপনি প্লুটোতে বসে থাকলেও সে ধারণাটা ভুল৷
- প্লীজ ডোন্ট মাইন্ড৷ আপনি কি এ'খানে উইথ ফ্যামিলি?
- না৷ একাই৷ একটা জরুরী কাজে৷
- ও মা। হিলস্টেশনে আবার জরুরী কাজ কীসের মশাই৷ তবে আমিও একাই এসেছি৷ গত বাইশ বছর ধরে সোলো ট্র্যাভেল করছি বুঝলেন৷ গ্র্যাজুয়েশনের পর নিজের জমানো যৎসামান্য পকেটমানি নিয়ে গোপালপুর গেছিলাম৷ অবভিয়াসলি একাই৷ সেই শুরু৷ বিয়েথাও হল না৷ আমার সংসার বলতে এই ট্র্যাভেলিং৷
- বাহ্৷ ভালো কথা।
- তা, আপনার কেসটা কী? তিনদিন ধরে দেখছি এই ম্যালে এসে বসছেন৷ বই পড়ছেন৷ অফিসের ব্যস্ততা নিশ্চয়ই নেই৷ ইয়ে, প্লীজ ফরগিভ মাই কিউরিওসিটি৷
- আসলে কী জানেন, আমার কাজের নেচারটা একটু গোলমেলে৷ অসীম ধৈর্য ছাড়া আমার গতি নেই৷ তবে হ্যাঁ, আমি ছুটি কাটাতে আসিনি৷ এই বেঞ্চিতে বসে দিনের পর দিন কাটাচ্ছি বটে। ওয়েল অবজার্ভড৷ তবে মোটেও ঝাড়াহাতপা নই।
- আপনি স্পেশ্যাল এজেন্টটেজেন্ট নাকি? ডিটেকটিভ?
- খানিকটা দু'টোই। আমার কাজে ডিটেকশনের একটা আলগা ভূমিকা আছেই৷ ভিড়ের মধ্যে থেকে সঠিক মানুষ চিনে বের করা৷ তার গতিবিধি মেপে নেওয়া৷ সেই অনুযায়ী অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা৷ আর ভেবে দেখুন, কিডন্যাপার তো এক ধরণের স্পেশ্যাল এজেন্টই। তাই নয় কি?
- এ ধরণের ঠাট্টা খুবই বিশ্রী৷ ঘাট হয়েছে যেচে আলাপ করতে এসেছি৷ নেহাত বাংলা বই পড়ছেন দেখে..।
- ডিডিউস করলেন আমি কলকাতার৷ কিন্তু মনে রাখবেন, কিডন্যাপারদের চোখ কিন্তু অত কাঁচা নয়৷ আর বর্ধমানের কিডন্যাপাররা তো মহাবজ্জাত৷
- গুড বাই।
- আসুন৷ আর বর্ধমানের দিকে এলে চোখকান খোলা রাখবেন৷ হয়ত দেখা হয়ে যেতে পারে৷
No comments:
Post a Comment