খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে যতই গালগল্প করি, ক্লাস এইট-নাইনের পর থেকে আমার টেস্টবাড আদৌ ইভলভ করেনি৷ কুইসিনটুইসিন নিয়ে বাছবিচারও কোনও কালেই ছিলনা৷ তেলঝাল টানটান, মশলাপাতি জমজমাট, ডুবো তেলে ভাজা বা তেড়ে কষানো; এ সমস্ত কিছুর প্রতিই আমার আগ্রহ অসীম৷ আর ওই গতানুগতিক সাতআটটা আইটেম আছে, যে'গুলোয় বারবার ফিরে যাই।
কম্বিনেশনের ব্যাপারেও আমার অত ধানাইপানাই নেই৷ এই যেমন বাটার নান দিয়ে বাটার চিকেন আর চিলি চিকেন৷ একগ্রাস বাটারচিকেন-নান আর তারপরেই চিলিচিকেন-নান৷ এই ভাবে একটানা..প্লেট সাফ না হওয়া পর্যন্ত। মাঝেমধ্যে কচাত কামড় ভিনিগারে চুবিয়ে রাখা ডুমোডুমো পেঁয়াজে। ও'টাই আমার কাছে অমৃত৷ চিত্তরঞ্জন পার্কের দিকে একটা ক্যালকেশিয়ান মেজাজের রেস্টুরেন্ট খুঁজে পেয়েছি৷ ইয়ে, বাঙালি রেস্টুরেন্ট নয়, কিন্তু ওই আমাদের ও'দিকের শহরতলির নর্থ ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টের রান্নাবান্না খানিকটা এমনই৷ দিল্লীতে বসে কোথায় অথেন্টিক পাঞ্জাবি রেস্টুরেন্ট পাকড়াও করব, তা না৷ ছেলেবেলার ভালোলাগা স্বাদ খুঁজে হদ্দ হচ্ছি৷ ব্যাপারটা ভেবে মাঝেমধ্যে একটু দমে যাই বটে; জিভটা ম্যাচিওর করলনা৷
তবে, ভালোও লাগে।
মাইরি, বাটারচিকেন আর চিলিচিকেন যে কী সুন্দর আমে-দুধে মিশে যায় (মিশে যায় বলতে দু'টো ঝোল মিশিয়ে খাওয়া নয়৷ ওই, অলটারনেটলি)৷ আহা। নাক কুঁচকোবেন না প্লীজ৷ ওরকম কনট্রাস্টিং স্বাদের আসা-যাওয়ায় জিভ এক্কেবারে চাক্কুর মত ধারালো হয়ে ওঠে৷ চেখে দেখবেন৷
No comments:
Post a Comment