ছুটে চলেছি।
ছুটে চলেছি৷
স্পীড বেড়েই চলেছে। অল্প আগে গ্যালপিং বর্ধমান লোকালকে চুক্কি দিয়ে মেনলাইন কাঁপিয়ে এগিয়ে গেলাম। এই স্ট্যামিনা ধরে রাখতে পারলে অলিম্পিক মেডেলের স্বপ্ন দেখাই যায়৷ কিন্তু ও'সব স্বপ্ন দেখার সময় কই?
আমি ছুটছি। ছুটছি৷ ছুটছি! ক্লান্তি বাড়ছে কিন্তু গতি কমছে না৷ এ'টাকেই কি লিঙ্কডইনদাদাদিদিরা এক্সেলেন্স বলে?
তবে আমার থামার উপায়ও নেই। একদল মানুষ আমায় তাড়া করছেন৷ তাঁদের প্রবল তেলেবেগুন অবস্থা, খেপচুরিয়াস-মেজাজের পেট্রোল পেটে তারা ছুটে আসছেন৷ কারুর হাতে খাদিমের সাতপুরনো চটি, কারুর হাতে পচা ডিম, কেউ আবার আঙুল মুড়িয়ে ধেয়ে আসছেন; পেলেই গাঁট্টা মারার আশায়৷
এদের এত রাগ কেন? কারণ আমি জীবনে প্রথমবার একটা স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করার চেষ্টা করেছিলাম। রীতিমতো মাইক লাগিয়ে, আবেগঘন স্টাইলে ডেলিভার করছিলাম৷ তারপর যা হয় আর কী, এ যুগে শিল্পী ও শিল্পীর কদর তো আর নেই। যাক গে। ওই খুনে বেরসিকদের প্রসঙ্গ থাক। ছুটতে ছুটতে আপনাদের বরং সেই ইন্সপায়ারিং পোয়েট্রিটা শুনিয়ে যাই:
"বইমেলায় পত্রভারতীর স্টল নম্বর
একশো পঁচাত্তর
তা'তে আছে তা'তে আছে তা'তে আছে;
বংপেন পঁচাত্তর।
আরও আছে আরও আছে আরও আছে; বংপেন আরও পঁচাত্তর"।
No comments:
Post a Comment