মনঃ কী রকম?
টেস্টবাডঃ মনে হচ্চে যেন নতুন ডানা পেইচি। উড়চি উড়চি উড়চি, উড়েই চলিচি।
টেস্টবাডঃ সিক্রেটটা জানতে চাইবেনা?
মনঃ নোলা ছুকছুকে আবার সিক্রেট কীসে৷ কী সাঁটালে?
টেস্টবাডঃ অমন গাম্বাট স্টাইলে ডায়লগ ছুঁড়বে না; কতবার এ'কথা বলিচি৷ নোলা চুকচুক, সাঁটানো; এ'সব আবার কী ধরণের ল্যাঙ্গুয়েজ? তুমি কি এমএলএ'র পোষা মাস্তান? শোনো, এই প্রবাসে মারাত্মক ভালো ভেজটেবল চপ পেইচি।
মনঃ এ'দিককার ভেজটেবল চপ? তা'তে কি আর সেই বাংলার ওম আছে?
টেস্টবাডঃ আরে আচে রে বাওয়া, ওম আচে, ওম পুরি আচে। হরি ওম আচে। চিত্তরঞ্জন পার্কের কমলা স্যুইটস থেকে খেলাম দু'পিস। অবিকল সেই ফেলে আসা পাড়ার চপের দোকান থেকে কেনা চপের স্বাদ ভাইটি। এক নম্বর৷ ছেলেবেলার সন্ধ্যে মনে পড়ে গেল৷ টিউশনি-স্যারের গাঁট্টা আর অঙ্কে গোল্লা মনে পড়ে গেল; এত অথেন্টিক সে চপের স্বাদ।
মনঃ পাড়া মনে পড়ে গেল? ছেলেবেলাও? এমন ধারালো সে চপের স্বাদ?
টেস্টবাডঃ নয়ত আর বলচি কেন..ও জিনিসে কামড় দিতে পারলে অহল্যাকে আর রামচন্দরের অপেক্কা করতে হতনা।
মনঃ কামড় শুধু চপেই পড়েনি দা'ভাই। পকেটেও পড়েছে।
টেস্টবাডঃ পকেটে কামড় পড়েচে? কী'রকম?.
মনঃ সাতাশ টাকার চপ।
টেস্টবাডঃ সাতাশ টাকায় এক জোড়া ভেজটেবল চপ খেলাম নাকি? ভায়া?
মনঃ সাতাশ টাকা জোড়া নয়, সাতাশটাকা পিস! চুয়ান্ন টাকায় দু'পিস চপ খেয়ে এলে দা'ভাই।
টেস্টবাডঃ ডানা ছাঁটা গেল। স্বাদে ভাটা পড়ল। কেমন দমে গেলাম৷ রোলটির দামে চপটি খেলাম ভাই?
মনঃ দমে যাওয়ার কী৷ বিদেশবিভুঁইয়ে থেকে, চপে ম্যাজিক কামড় দিয়ে ছেলেবেলার পাড়ায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ, ট্যাক্স দেবে না?
টেস্টবাডঃ নাহ্, ভেবে লাভ কী। বরং একটা বাউল ধরচি৷
No comments:
Post a Comment