"এইবারে তোমাদের পৃথিবীর ঝড়ঝাপটায় টপাৎ করে ফেলে দেব৷ কেমন? বিটি, তুই একদিকে হন্যে হবি। আর এই যে বাবা মদনচন্দর..সে অন্যদিকে ন্যাজেগোবর হতেহতে তোর সামনে এসে দাঁড়াবে৷ ওয়েট, দাঁড়ালে চলবে না; নতজানু হবে৷ এরপর ন্যাবাকুমার দায়িত্ব নিয়ে সমস্তটা ডুবিয়ে দেবে৷ সে ডোবাবে, তুমি টেনে ভাসিয়ে রাখবে৷ এই ল্যুপেই চলবে। বানিয়ে বলছি না, এই দেখো দেখো; নোটবুকে লিখে রাখা আছে"।
***
"এইব্বারে। সিকুয়েন্স বুঝে নাও! ইম্যাজিন! চাদ্দিকে গোলাগুলি ছুটছে;সে এক ধুন্ধুমার ব্যাপার। বারুদের মোচ্ছব, দেদার রক্তারক্তি। এ ওর মাথায় কাঁঠাল ভাঙছে তো ও এর পিঠে ছুরি দিয়ে ছবি আঁকছে।
এ'সবের মধ্যে তোমরা দু'টিতে গল্প জুড়বে৷ ওটাই হোমটাস্ক।
দু'জনেই নয়নতারা ভালোবাসো জেনে লাফিয়ে উঠবে।
বাদাম শেষ হলে ঠোঙা দিয়ে বুকমার্ক বানাবে।
ভালোবাসবে।
কী..ভাবছো বানিয়ে বলছি? আরে না হে৷ নোটবুকের সতেরো নম্বর পাতাটা দেখো..এই যে..দাগিয়ে দিয়েছি। ঠিক হ্যায়? ভালোবাসবে "!
***
"কবিতা? এ কী ধরণের সিলি কোশ্চেন! পোয়েট্রি ভালো না বাসলে চলবে কেন? এই এখানে ইন্সট্রাকশন লিখে রাখছি; মনে থাকে যেন; মাসকাবারির ফর্দ তোমাদের কথোপকথন।
আর হ্যাঁ৷ তর্ক না থাকলে মুক্তি কোথায়? আচমকা বৃষ্টি নামলে তর্কের ঝড় উঠবে- জানালা বন্ধ করার দায়িত্ব কার, তা নিয়ে৷ ফয়সালা হওয়ার আগেই বিছানায় জল। তারপর দোষারোপ, অভিমান, তিল থেকে তাল, মুখ ফসকে ভুলভাল, চোখ চলকে টপাটপ।
তারপর হাওয়া ঠাণ্ডা হলে খিচুড়ি, আলুভাজা আর 'শোনো না, ময়দান যাবে'?"
***
"এরপর।
হঠাৎ একদিন৷
কিছু মনে কোরো না।
হঠাৎই একদিন।
ডিসেম্বরের সন্ধের মত ঝুপ করে নামবে;
'আসি'৷
ব্যাস, আর কী!
ক্যাবলাচরণের মত পড়ে রইবে কলকাতা"৷
No comments:
Post a Comment