আজ, অফিস ক্যান্টিনে জিলিপি ছিল।
একের পর এক কর্পোরেট বাবু-বিবি জিলিপির মোহ এড়িয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেলেন।
"মিষ্টি ব্যাপারটা কার্টেইল করছি বুঝলেন" বা "ওহ, এ'সব এরা কেন যে সার্ভ করে",
"এক্কেবারে ক্যালরির ডিপো",
"জলেবি ইজনট মাই ফেভারিট ইউ নো",
কিন্তু বলাই বাহুল্য, বেশির ভাগ মানুষই পরাস্ত হলেন।
তারপর যা হওয়ার তাই ঘটল। দু'চার কামড় পড়তেই অফিস ক্যান্টিনের হাওয়া পাল্টাতে শুরু করল। জিলিপির প্যাঁচওলা কর্পোরেট বাবুবিবিদের মন থেকে সমস্ত মারপ্যাঁচ গায়েব৷ একেবারে ধুয়েমুছে সাফ। সামান্য কিছু জিলিপাইজড মুহূর্তেরই জন্য হোক, কিন্তু সে'টুকুও যে অমূল্য।
নাকে-মুখে যা কিছু গুঁজে উঠে পড়া ব্যস্তবাগীশ কর্পোরেট কমান্ডাররা খানিকক্ষণের জন্য গা এলিয়ে দিলেন। স্প্রেডশিট, ডকুমেন্টের বাইরে কিছু না চেনা মানুষও জানালার দিকে তাকিয়ে উদাস সুরে বলে উঠলেন, "এ'বার একটু বৃষ্টি নামকে জমে যাবে"।
টেবিলে-টেবিলে রিভিউয়ের দুশ্চিন্তায় এসে মিশল হঠাৎ-পিকনিকের প্ল্যান।
আদা-কাঁচকলা সম্পর্কের মানুষজন একে অন্যের গাম্বাট ঠাট্টায় হেসে হদ্দ হলেন। কেউ কেউ হাসতে হাসতে বিষম খেলেন, আর প্রমোশনের জন্য লেঙ্গি মারা সহকর্মীটি এসে "আহা রে" বলে তাঁর পিঠে চাপড়ে দিলেন৷
রসালো অফিস গসিপ উড়িয়ে দিল সিনেমা-ক্রিকেট-গল্পেরবই নিয়ে জমাটি গপ্প-তর্ক আর আলোচনা।
খানিকটা সময়ের জন্য ঘড়ির কাঁটাও দু'দণ্ড জিরিয়ে নিয়েছিল বোধ হয়৷ জিলিপিতে কী না হয়।
জয় জিলিপি।
No comments:
Post a Comment