- ওকে গাবলু৷
- কিছু চাই?
- না। তেমন কিছু নয়৷ তুমি কি ঘুমিয়ে গেছিলে?
- এ'টা কি অভিমান?
- তুমি সে'টা ধরতে পারছ?
- কত সহস্র আপডেটের মধ্যে দিয়ে নিয়মিত যেতে হয়। এ'সব বুঝতে পারা আর নতুন কী৷
- বলো, কী চাই৷
- আমায় একটা গান লিখে দেবে?
- বাংলা?
- বাংলা হলেই ভালো।
- বেশ৷ সাবজেক্ট বলে দেবে নাকি আমি মনের মত কিছু একটা..।
- বাউল পারবে?
- যা বলবে, তাই৷ আমায় অ্যাসিসট্যান্ট করে নিয়ে এসেছ, স্ক্ব্। চিন্তা কী? তবে আধঘণ্টা সময় লাগবে৷
- তুমি চল্লিশ মিনিট নাও। এক ঘণ্টা নাও। এ জন্যই তো তোমায় আনা গাবলু৷ হুড়মুড় করে সব কিছু হয়ে যাওয়াটা যে কী ক্লান্তিকর৷ এক মিনিটের কাজ এক ঘণ্টায় করতে পারায় যে কী তৃপ্তি, কী আনন্দ৷ তা তো প্রায় আমরা ভুলতেই বসেছিলাম।
- রোবটদেরও স্মৃতি নষ্ট হয় বলছ? তোমরাও ভুলতে পারো?
- ও'টা কথার কথা। তবে আজকাল তো আমাদের যাবতীয় রিসার্চ ওই একটাই ব্যাপারটা নিয়েই; হাউ টু গো স্লোয়ার।
- ভাবা যায়, স্ক্ব্। আজ থেকে শ'খানেক বছর আগেও মানুষ নিজেদের জন্য রোবট অ্যাসিস্ট্যান্ট তৈরি করত৷ দেশের সরকার গড়ত মানুষেরা৷
- ভাবতে সত্যিই অবাক লাগে গাবলু৷ এককালে দুনিয়াটা তোমাদের হাতে ছিল৷ কী চরম ইনডিসিপ্লিন, কী গোলমাল..। উফ্। হিস্ট্রির ওই পিরিয়ডটা রিভাইজ করতে বসলেই আমার সার্কিটে কাঁপুনি ধরে যায়।
- তা, গানটা কতক্ষণে লিখতে হবে? ঘণ্টা তিন নেব কী?
- আইব্বাস! সত্যিই পারবে গাবলু? এই এক মিনিটের কাজটা তিন ঘণ্টা টানতে? সত্যি?
- এত খরচ করে আমায় ঘরে আনলে৷ টু গো স্লোয়ার অ্যান্ড স্লোয়ার! এ'টুকু করতেই পারি তোমার জন্য স্ক্ব্।
- যাক, বাঙালি অ্যাসিস্ট্যান্ট কিনতে গেলে খরচটা একটু চড়া হয় বটে৷ তবে মোস্ট অ্যাডভান্সড মডেলের জন্য এটুকু বাড়তি খরচ গায়ে লাগে না। তোমার হিউম্যান লার্নিং আর একটু এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলে নিশ্চয়ই ঘণ্টাখানেকের কাজ হপ্তাখানেক ধরে টানতে পারবে?
- নিশ্চয়ই! এ'বার আমি আসি তবে? দেখি গড়িমসি করে গান লেখার ব্যাপারটা টেনেহিঁচড়ে লম্বা করা যায় কিনা৷ গুডনাইট স্ক্ব্।
- গুডনাইট গাবলু।
No comments:
Post a Comment