Saturday, July 1, 2023

জিবিপির গল্প



আপনারা তো আর সব জেনে বসে নেই৷ সে'টাই স্বাভাবিক। তবে তা'তে আপনাদের আর দোষ কী৷ বিজ্ঞানও এই ব্যাপারটা এখনও ধরতে পারেনি। তবে আজ না পারুক, একদিন পারবে৷ এই যেমন ডারউইনের আগে ইভোলিউশন ব্যাপারটাকে সবাই "কী গুলতাপ্পি দিচ্ছিস বাপ্" বলে উড়িয়ে দিত৷ কিন্তু আজকাল সবাই বাঁদর দেখলেই ইয়ারদোস্তকে জড়িয়ে ধরে বলে "দ্যাখ দ্যাখ ভাই, ওই যে গাছে দোল খাচ্ছে, ও'দিকে..দ্যাখ...বাঁদিক থেকে দেখলে তোর মেজজ্যেঠুর সঙ্গে একটা মারাত্মক সিমিলারিটি দেখতে পাবি। ওই যে, যে জ্যেঠু চাঁদা চাইতে গেলেই চিঁচিঁ করে চেল্লাত। আরে রাগছিস কেন, মাইরি৷ দ্যাখ না ভালো করে"।

তেমনই জরুরী একটা ব্যাপার আজ জানিয়ে যাচ্ছি। গরীবের টাটকা কথা; কাজেই আজ আপনারা পাত্তা দেবেন না৷ তবে একদিন যখন এলিয়েনরা এসে পাড়ার মোড়ের গুমটিতে "দাদা একটা ফ্লেক আর ফ্যান্টাস্টিক একটা জর্দাপান দিন দেখি" বলে জিরোবে, সে'দিন আপনারা এ সত্য অনুভব করতে পারবেন৷

যাকগে৷ আসল ব্যাপারটা বলি৷ বাড়তি মাংসের ঝোল; রাতেরবেলা ডিনার শেষে ফ্রিজে ঢুকিয়ে দেওয়া মাত্রই কী হয় জানেন? জানেন না। আমি বলে দিচ্ছি৷ মাংসের ঝোল রাত্রে খাওয়ার পর সরিয়ে দেওয়া মাত্রই মহাকাশের একদম সেন্টার (অফ কোর্স সেন্টারটা কন্টিনিউয়াসলি পালটে যাচ্ছে) থেকে একটা ওয়েভ জেনারেট হয়ে সেই ঝোল-আলুতে এসে মেশে৷ এই দ্যাখো, ফ্যাক্-ফ্যাক্ করে আসে৷ বললাম তো; মাত্রাতিরিক্ত সাইন্স আম-আদমির সহ্য হয়না৷

যাকগে৷ যা বলছিলাম৷ তা ডিনার শেষে পড়ে থাকা মাংসের ঝোলে স্যাট করে এসে মেশে সেই মহাজাগতিক ওয়েভ৷ সে ওয়েভে থাকে জিবিপি (গডের বাবা পার্টিকল)৷ বুঝলেন? হাসবে না৷ মন দিয়ে শুনুন; জিবিপি৷

মাংসের ঝোলের মধ্যে সেই জিবিপি জাদুমন্ত্রের মত ছড়িয়ে পড়ে। আর তার ফলে তৈরি হয় এক মহাজাগতিক ম্যাজিক৷ যেই ম্যাজিকে আমার মত গাম্বাট মানুষের কবিতা পায় ( তা বলে লেখার রিস্ক নেয় না), অপ্রেমিক মানুষের মুখে জগজিৎ সিংয়ের গান এসে পড়ে, আরও বিভিন্ন রকম অদ্ভুতুড়ে ব্যাপারস্যাপার ঘটতে থাকে৷ সে'সব অদ্ভুতুড়ে ব্যাপারস্যাপারের তল পাওয়ার সময় এখনও আসেনি অবশ্য।

শ'খানেক বছর সবুর করুন, মেওয়া ফলবেই। আরে বিজ্ঞান তো আর থেমে থাকবে না; জিবিপির গল্প একদিন সে ফলাও করে বলবেই৷ তদ্দিন না হয় বাসি মাংসের ঘ্যামকে তুকতাক ভেবেই সন্তুষ্ট থাকুন৷ 

No comments: