দিল্লীওলা আমার অন্যতম প্রিয় ট্যুইটার হ্যান্ডেল। ছবির ভালোমন্দ বলার আমি কে। তবে যে ভালোবাসা নিয়ে তিনি দিল্লীর ছোট-ছোট টুকরোগুলোকে ফ্রেম-বন্দী করেন, সে'টাকে সেলাম না ঠুকে থাকা যায় না। তিনি একদিক দিয়ে যেমন ফটো-জার্নালিস্ট, অন্যদিকে ফটো-বাউলও গোছের একটা ব্যাজ পরিয়ে দিলেও দিব্যি মানাবে তাঁকে। আটপৌরে যা কিছু, তার মধ্যেই জাদুমন্ত্র খুঁজে বেড়ানো মানুষ এই ময়ঙ্ক অস্টেন সুফি ওরফে দিল্লীওলা।
অবশ্য আমি আদৌ তাঁকে চিনি না। যে'টুকু দেখেছি তা টুইটার টাইমলাইনেই। এক ক্লান্ত ছোলেকুলচেওলা, বেঞ্চির ওপর পড়ে থাকা একটা শুকনো পাতা অথবা দিল্লীর মেঘলা আকাশ; ওর যে'কোনও ছবির দিকে তাকালেই মনে হয় কী সাধারণ, অথচ কী মায়ার; নির্ঘাত কেউ গল্প লিখছে। আর ওর ক্যাপশনগুলো পড়লে হয়ত যে কারুর মনে হবে যে ফটো-বাউল কথাটা নেহাত ফেলনা নয়। দিল্লীওলার টাইমলাইনের দিকে তাকানোর পর বার বার মনে হয়, "আরে, আমার চারপাশে না জানি কত ম্যাজিক পড়ে আছে। আমিই এক বেওকুফ...পাত্তা না দিয়ে ক্রমাগত খিটখিট করে চলেছি"।
দিল্লী ছেড়েছি মাসখানেক হল। বম্বেতে বসে মাঝেমধ্যেই দিল্লীওলার ছবি দেখি, ক্যাপশন পড়ি। আর যত দেখি, তত মনে হয়, "ইন্টারেস্টিং! আমি তা'হলেও দিল্লীকেও ঠিকঠাক ভাবেই ভালোবেসেছি"।
প্রতিটা শহরের যেন এমন কিছু কবি-ক্রনিকলর জুটে যায়।
No comments:
Post a Comment