জিম কর্বেট ন্যাশনাল পার্ক লাগোয়া রিসর্ট।
মধ্যরাত৷
নদী? আছে৷ এক্কেবারে কুলকুল করে বইছে। সাউন্ডটা ভীষণ কমফর্টিং।
নিকালো কিন্ডল, চলে যাও পছন্দসই বইটির আশ্রয়ে।
পাহাড়? তাও আছে। এক্কেবারে চার্মিং । এইত্তো চাই।
এ'বার চেয়ারে গা এলিয়ে ঠাং ছড়িয়ে জুত করে বসো দেখি৷
জ্যোৎস্না? মেঘের ইন্টারফারেন্স নেই, অতএব চাঁদ চালিয়ে খেলছে৷ চাদ্দিকে এক্কেবারে মায়াময় একটা ইয়ে৷ ইয়ে বলতে; মনের ভাবটা বুঝে নিতে হবে৷
এ'বারে দু'পাতা 'ম্যান ঈটার অফ কূমায়ুন' আর দু'মিনিট প্রকৃতি৷ দু'পাতা বই, দু'মিনিট নদী-পাহাড়-এটসেটেরা। আহা।
সবে জুত করে বসেছি। দেড় পাতা এগিয়েছে৷ এমন সময় বার্মুডা ছাপানো টিঙটিঙে ঠ্যাংজোড়া জানান দিলে, প্রকৃতির আর একটা মারাত্মক এলিমেন্টও আছে যে'টা ফুর্তির আবহে ঠাহর করতে খানিকটা দেরী হয়েছে। মশা। অসংখ্যা হতচ্ছাড়া-হাড়বজ্জাত মশাদের দল।
অমনি টুপ করে পাহাড়ি চাঁদনি আর তিরিতিরি নদীর কম্বিনেশন ছাপিয়ে মনে পড়ল একটা এসি আর অলআউট লিকুইডেটর সমৃদ্ধ আরামদায়ক রুম আমায় অনুপস্থিতিতে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে।
সাময়িক উচ্ছ্বাস কেটে যেতে মন ফিরে এলো আনন্দ-নিকেতনে। হোটেল রুমের নরম খাটে গা এলিয়ে করবেট বা বিভূতিভূষণ পড়াটাই যে আদত প্রকৃতি-পুজো, এই অমোঘ শহুরে সত্যটা পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনও মানে হয় না৷
No comments:
Post a Comment