- কী ব্যাপার? আজ হ্যালো লিখলে?
- এই রে, হ্যালো লেখা উচিৎ হয়নি?
- কেমন আছো তুলি?
- হাঁটুর ব্যথাটা বেড়েই চলেছে। ডায়াবেটিস তুঙ্গে। এ'বাদে বাকি ব্যাপারস্যাপার মন্দ নয়। তুমি কেমন আছো জয়?
- রোজ সকালে অন্তত দু'মাইল হাঁটছি৷ আর রোজ মিনিমাম দু'পিস পান্তুয়া৷ এ'বাদে বাকি ব্যাপারস্যাপার খুব একটা সুবিধের নয়।
- এ'বারে কিন্তু পিং করতে বেশি সময় নাওনি৷ মাত্র আড়াই মাস পর।
- দাঁড়াও দেখি৷ একটা জুতসই 'বিব্রত হইলাম' মার্কা ইমোজি খুঁজি।
- না না৷ মন থেকেই বললাম। এর আগে তুমি আমার খোঁজ নিতে এই মাস পাঁচ-সাতেক অন্তর অন্তর। আজ হঠাৎ এই অল্প দিনেই খোঁজ পড়ল? সত্যিই তুমি বুড়ো হচ্ছ, সেন্টিমেন্টালিটি লাগামছাড়া হচ্ছে। পান্তুয়ার শাক দিয়ে বয়সের মাছ ঢাকা সহজ নয়।
- বয়স ব্যাপারটা ভাবলেই সামান্য উদাস লাগে।
- সাবধান। এ'বয়সে পান্তুয়ার অত্যাচার তাও উতরে যাবে৷ কিন্তু কবিতার ধাক্কাটা তুমি নিতে পারবে না জয়।
- হা হা হা।
- 'লল্' লেখো৷ হা হা ব্যাপারটা বড্ড সেকেলে।
- মাঝেমধ্যে আমারও বড় সাধ হয় তোমার পিং পাওয়ার৷
- সবই তো জানো। অ্যামনেসিয়ার তো এই এক দোষ। চাই তো৷ পারি না৷ তোমার পিং মোবাইলে এলে তবে মিষ্টুরাণী ঝাঁপিয়ে পড়বে আমার ঘাড়ে; বলবে- দ্যাখো দিদুন কে মেসেজ করেছে! আমি আকাশ থেকে পড়ব! মিষ্টু আমায় বোঝাব হাউ আই অ্যাম দ্য তুলি অফ জয়৷ তারপর আমার চ্যাটিং শুরু৷ আমার পিং না করাটা ক্ষমাঘেন্না করে নিলেই ভালো করবে।
- এই নাতি-নাতনিগুলো না থাকলে ভেসে যেতাম আমরা। তাই না?
- তুমি বোধ হয় আর একদমই দেখতে পারছ না। তাই না? সবটাই বোধহয় বিট্টু টাইপ করে দিচ্ছে?
- এক চোখে যে'টুকু স্ট্রেন্থ ছিল, মাসখানেক হল তাও গেছে৷ অবশ্য বিট্টা যতক্ষণ পাশে থাকে, সব কিছুতেই উতরে যাই৷ এই এখনও ওই ডিকটেশন নিয়ে টাইপ করছে আর তোমার উত্তরগুলো নার্সারি রাইমের মত রীডিং পড়ছে৷ শুধু একটাই গোল পাকালে। বললাম তুলিকে পিং কর। বেরসিক ছোকরা হাই-য়ের বদলে হ্যালো লিখে দিলে।
- লল্। তোমার নাতিটি বড় মিষ্টি।
- রওফল। লজ্জায় বিট্টুর কান লাল হয়ে গেছে।