খোকাকে টাকাপয়সার যোগ-বিয়োগ শেখানো হলো। অমুক দামে কেনা জিনিসের জন্য তমুক টাকা দিলে কত ফেরত পাওয়া যাবে; তা'ও বোঝানো হলো৷ অথচ কনসেপ্টে কোথাও মারাত্মক একটা খামতি রয়ে যাচ্ছে৷
একটা বটুয়ায় খুচরো পয়সা আর দশ-বিশটাকার নোট মিলে সাকুল্যে সত্তর-আশি টাকা হবে। সেই বটুয়া নিয়ে খোকা আজকাল মাঝেমধ্যেই ঘুরঘুর করছে আর কিঞ্চিৎ গোলমেলে বোলচাল ঝাড়ছে৷
রেস্টুরেন্টে খেয়েদেয়ে পেমেন্ট করব, সে অম্লান বদনে দশটাকার নোট এগিয়ে দিয়ে বলছে "এ'টা ভাঙিয়ে নাও"।
মাঝেমধ্যেই স্থান-কাল-পাত্র বিচার না করে দু'চারটাকা এগিয়ে দিয়ে বলছে "রাখো। আরে রাখো না, আমি দিচ্ছি তো। সাবধানে, রেখো, হারিও না৷ পারলে ভালো কিছু কিনে নিও"৷ ভালো কিছুর লিস্টে টিভি, মোজা, টিফিনবাক্স বা মোবাইল সবই আছে৷
সবচেয়ে সাংঘাতিক হল বাজার থেকে ফিরে ব্যাজার মুখে জানান দেওয়া "এহ্ হে, আজ আমার পঞ্চাশ টাকা লস হয়ে গেল"। "লস্" কীরকম? বাজারে গিয়ে মাত্র কুড়ি টাকা খরচ করা হয়েছে, পঞ্চাশ টাকা বটুয়ায় পড়ে রয়েছে। ওই খরচ করতে না পারাটাই ডাহা লস্।
তাই বলছিলাম৷ কনসেপ্টে কোথাও একটা খামতি রয়ে যাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment