কোনো ভালো লাগার জিনিসকে বাড়তি অবাস্তব প্রশংসায় ভাসিয়ে দেওয়ার মধ্যে একটা মারাত্মক তৃপ্তি রয়েছে৷
এই যেমন অকারণ একটানা বলে যাওয়া যে চন্দ্রবিন্দুর 'সোনামন'য়ের মত সুন্দর গান গোটা দুনিয়ায় আর নেই৷ ওই গানে রোদ্দুরে চাঁদিফাটা দিনকেও মিষ্টিভাবে মেঘলা মনে হয়৷ ঢাকুরিয়া ওভারব্রিজে দাঁড়িয়ে, কানে ইয়ারফোন গুঁজে সে সুর শুনলে মনে হয় মুখে সমুদ্রের হাওয়ার ঝাপটা লাগছে৷
তেমনই।
বেলিয়াতোড়ের লাল্টুর চা সেই কবে খেয়েছি, এখনও সবার কলার টেনে বলে বেড়াই যে অমন চা খেলে নির্ঘাৎ আড়াই মাস আয়ু বাড়ল।
ছোটোবেলার স্কুলের পাশের নিরিবিলি রাস্তা দিয়ে শীতের সন্ধেবেলা হাঁটার সময় মনে হয় আমার মত জবরদস্ত ইয়ারদোস্ত এ দুনিয়ায় আর কেউ পেয়েছে কি?
পুরনো কলকাতাইয়া গলির জীর্ণ মেসবাড়ির জানলা ঘেঁষা চৌকিটায় গা এলিয়ে দিয়ে মনে হত "এই হলো গিয়ে রাজার মেজাজ, জমিদারি ঘ্যাম আর লাটসাহেবি কেত"।
এমন কত অবাস্তব প্রশংসার ঝড় ওঠে মাঝেমধ্যেই। উচ্ছ্বাসের পারদ সামান্য নেমে এলে একটু লজ্জা পাই৷ তবে সে ক্ষণিকের লজ্জা। পরক্ষণেই গর্জে ওঠা, "ও'টা আমার গান৷ আমার চা। আমার রাস্তা। আমার জানালার পাশে আমার বিছানা। ও'গুলো আমার। ও'গুলোয় কোনো খুঁত নেই, থাকতে পারে না।।
যদ্দিন অযৌক্তিক এই "আমার" গুলো আছে, তদ্দিনই।
No comments:
Post a Comment