- বড় তাড়াতাড়ি সন্ধে হলো আজ। তাই না মন্টু?
- ভরদুপুর তো সমরদা। ঘরময় রোদ্দুর।
- ওহ্।
- শরীরটা কেমন বুঝছ?
- দিব্যি।
- মন?
- ওই। সন্ধে।
- ডাক্তারবাবুকে কল দেব একটা?
- থাক৷ অবস্থা এখনও এখন-তখন নয়৷ বেগতিক টের পেলে বলব, তখন ডাক দিস।
- জল খাবে?
- মন্টু৷ কত ভুল।
- তা আছে৷ থাক না৷ ঠিকঠাক কি কিছুই ছিল না?
- কে জানে ভাই৷ ভুলগুলো বাদ দিয়ে কোনও ভাবনা আসেনা মনে৷
- মাথা টিপে দিই?
- কেমন একটা গলা-বুক দলা পাকানো জ্বালা।
- চা করে দিই?
- মন্টু৷ কী কান্না পায়।
- কাঁদো না৷ ক্ষতি কী৷ আমি আছি তো।
- তুই আছিস বটে৷ এমন আঁকড়ে আছিস, তা'তেও মনকেমন হয়।
- আমি সরে গেলে নিশ্চিন্দি? সে সুখ তোমার কপালে নেই সমরদা। তুমি আমার মেসজীবনের গার্জেন, আমি বাঁধা পড়ে গেছি৷
- তুই বড় ইউসলেস।
- কফি খাবে?
- বড় অন্ধকার রে মন্টু৷
- অন্ধকারই তো। সেরে যাবে সমরদা৷ দেখো।
- সেরে যাক৷ এত অন্ধকার ভালো নয়।
- ঘুমোও একটু।
- সেই ভালো। ঘুমোই৷ তুই গল্প বল মন্টু। মেসের গল্প। বলবি?
- চমৎকার আইডিয়া। সে বহু বছর আগেকার কথা বুঝলে..শীতের রাত্রি..কলকাতা অমন গা-কাঁপানো শীত কমই পড়ে। আমাদের মেসে তখন পড়াশোনা ডকে ওঠা সিনেমা-আড্ডা জমেছে। এমন সময় হয়েছে কী...।
No comments:
Post a Comment