রেস্টুরেন্টের লক্ষ্মী হলো ক্যাশকাউন্টারের সামনে কমলা রঙের প্লাস্টিকের বাটিতে বা স্টিলের চ্যাপ্টা দু'খোপের প্লেটে রাখা ভাজা মৌরি আর ডুমো মিছরি৷ তার ওপর অবশ্যই একটা ছোট্ট চামচ৷ ও জিনিসের মোহ ফুচকার ফাউ বা টিটুয়েন্টির সুপারওভারের চেয়েও বেশি৷ একটু কেতওলা রেস্টুরেন্ট মানেই ওয়েটাররা সস্তা নকল-চামড়ার জ্যাকেটে বিল আর মুখশুদ্ধির বাহারে বাটি নিয়ে টেবিলে রেখে যাবেন। তা'তে মৌরি-মিছরি খাবলে নেওয়া যায় বটে, কিন্তু ম্যাক্সিমাম তৃপ্তি নেই।
মজা হলো সে'সব খাওয়ার 'দোকানে' যে'খানে টেবিল থেকে উঠে গিয়ে, বেসিনে হাত ধুয়ে এগিয়ে যেতে হয় ক্যাশবাক্সের পিছনে বসে থাকা ম্যানেজারের দিকে। ম্যানেজার ব্যাজার মুখে হাঁক ভাসিয়ে দেবেন "বারো নম্বর টেবিলে কী কী ছিল"। জনসমুদ্র থেকে মায়াবী হিসেব ভেসে আসবে, "একটা মোগলাই স্পেশ্যাল৷ একটা ফিশফ্রাই৷ দু'টো থামস আপ"৷ ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন লেখার স্টাইলে ম্যানেজার হলুদ বা গোলাপি কাগজে ঘসঘস করে ডটপেন চালাবেন৷ তারপর মুখ তুলে বলবেন, "দু'শো আশি"।
এরপর একটা পাঁচশোর নোট ম্যানেজারের দিকে এগিয়ে দিয়ে মৌরি-মিছরির বাটি কাছে টেনে নেওয়া৷ চামচ এমন ভাবে খেলাতে হবে যাতে মিছরি মৌরির রেশিও মনমত হয়৷ এরপর ফেরত টাকা মানিব্যাগে রাখতে রাখতে ম্যানেজারের দিকে তাকিয়ে সামান্য ঘাড় দোলানো।
মুখ ভরা মৌরি, কাজেই কথা নয়৷ স্রেফ বডিল্যাঙ্গুয়েজের খেলে বুঝিয়ে দিতে হবে "ভালোই খেলাম আপনাদের দোকানে৷ ফার্স্টক্লাস! তা, আজ আসি, কেমন? আবার দেখা হবে"৷
No comments:
Post a Comment