ছাতা হাতে নয়৷
ব্যাগ পিঠে নয়৷
এমন কী ছড়ি হাতেও নয়৷
ভদ্রলোক একটা আস্ত ব্যাট নিয়ে বাড়ি-অফিস-বাড়ি যাতায়াত করেন, নিয়মিত।
ব্যাট নিয়ে যাতায়াত করার রকমারি সুবিধে।
১। বাসস্টপের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে মাঝেমধ্যে মাথা ঝুঁকিয়ে একমনে রাস্তার পিচ ঠুকঠাক করর নেওয়া যায়৷ সে'ভাবেই তিনি মনের রাশ টেনে রাখেন৷
২। অটোর লাইনে দাঁড়িয়ে দু'একটা শ্যাডো শট খেলা যায়; বেশি মারকুটে কিছু নয়, ব্যাট স্যুইং বেশি হলে আশেপাশের মানুষজনের অসুবিধে। এইসব শ্যাডো ডিফেন্স বা নিখুঁত লেগ-গ্লান্সে মেজাজের চনমন বজায় রাখা যায়৷
৩। ট্রেনের দরজার কাছে হেলান দিয়ে দাঁড়ানোর সময় ব্যাটটা কাঁধে গদার মত নিয়ে দাঁড়াতে পারলে বুকে বাড়তি বল পাওয়া যায়৷ ব্যাটের সুইটস্পট বুকের যত কাছে, ততটাই দাপট নিয়ে চোয়াল শক্ত রাখা যায়৷
৪। সব চেয়ে বড় কথা বাড়ি ঢোকার সময় পায়ের আগেও চৌকাঠ পেরোয় ভদ্রলোকের ব্যাট৷
শুধু ব্যাট তুলে স্টেডিয়ামের অভিবাদনে সাড়া দেওয়ার ভঙ্গীমায় বাড়ি ফিরে ব্যাট তুলে "আমি ফিরে গেছি" বলাটাকে গিন্নী "বাড়াবাড়ি কোরো না" বলায় সামান্য চেপে যেতে হয়।
**
(ছবিটা এক লহমার। কিন্তু সে ছবিতে ভর দিয়ে নিজের কল্পনায় এমন একটা রূপকথার মানুষকে গড়ে নিতে বেশ লাগে)।
No comments:
Post a Comment