ভালোমানুষের ভালোমানুষিতে ডেটলের গন্ধ৷ কিন্তু বখে যাওয়া মানুষের হঠাৎ খুঁজে পাওয়া ভালোমানুষির মত হিমসাগর-সুমিষ্ট ব্যাপার আর হয় না৷ সিনেমা বা নভেলের হাড়জ্বালানো চরিত্ররা আচমকা ভালো কিছু করে বসলে তাদের সে ভালোত্ব আমাদের চোখে দ্বিগুণ উজ্জ্বল হয়ে ধরা পড়ে৷ দাদার কীর্তির ক্লাইম্যাক্সে ভোম্বলদা ভোল পালটে পাষাণপ্রাণ দর্শককেও ঘায়েল করেছিলেন৷ কুম্ভকর্ণ রাবণকে সদুপদেশ দিলে মনে গলে জল হয়ে যায়; আমরা ভাবি "আহা রে, হাবভাবে বিটকেল হলে কী হবে, কুম্ভদাদার মনটা ভারি নরম"৷ কবীর খানের দলে ভাঙন ধরানো বিন্দিয়া নায়েক যখন সমস্ত মান-অভিমান শিকেয় তুলে দলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে বিশ্বকাপের মোড় ঘুরিয়ে দিলে; তখন ইমোশনে একটু ফ্যাঁচফোঁচ না করলেই নয়।
তেমনই। পঞ্চায়েত সিজন ৩।
ভালো-মন্দ জমলো-জমলো না; সে'সব বিশ্লেষণ সমালোচকদের দায়। দর্শকরা নিজেদের ভালোলাগাটুকু খুঁজে নিয়ে দু'দণ্ড ফুর্তি অনুভব করবেন; তাদের ফোকাস সে'টুকুই৷ আমার কাছে পঞ্চায়েতের এই সিজনের সবচেয়ে জরুরী ব্যাপার হলো "The Grand Redemption of Asshole"। অ্যাসহোল ভাইটি যখন সচিবজীকে নিজের মারুতি গাড়ির পিছনের সীটে ঠেলে পাঠালেন, দর্শকাসনে বসে থাকা অজস্র ঘা-খাওয়া প্রেমিক-প্রেমিকার দল মনে মনে "আইসাব্বাস" বলেছেন৷ (কেন, কী'ভাবে; জানতে হলে সিরিজটা দেখুন)৷ সে অর্থে অ্যাসহোলবাবুই হলেন এই সিজনের ইম্প্যাক্ট-সাব।
No comments:
Post a Comment