- মেজদা৷
- আবার কী হলো..।
- সব কথায় অত খেইমেই করে উত্তর দাও কেন?
- রাত গভীর হয়নি৷ তবে জমাট বেঁধেছে।
- এই সেরেছে৷ কাব্য ফাঁদতে এলি নাকি?
- তা ঠিক না৷ তবে গান পেয়েছে। শোনো।
- তোকে আমি ত্যাজ্যভ্রাতা করব।
- মাইরি। একটু হেমন্ত, দু'কলি মান্না৷ শুনিয়েই চলে যাব৷ পেলে তো আর চেপেচুপে রাখা যায় না।
- রাত পেরোলেই সোমবার ছোট৷ আমার অফিস, তোর কলেজ। প্লীজ।
- বেশ তো৷ এ গান শুনলে বুকে বল পাবে।
- গান না শুনিয়ে ছাড়বি না?
- তোমার মন না ভরিয়ে ছাড়ব না৷ হারমোনিয়ামটা এ'খানেই পাতি?
- আবার হারমোনিয়াম কেন৷ খালি গলাতেই তো বেশ।
- অমন দায়সারা ভাবে মিউজিক হয় না মেজদা।
- তাও ভালো আমায় তবলা বাজাতে বলিসনি।
- বলব কী করে বলো, বড়দাকে সাধ করে একটু তাল ঠুকতে বললাম৷ কান মুলে তবলা বাজেয়াপ্ত করে রেখে দিলে৷ কী ডেঞ্জারাস৷ বাবা ঠিকই বলে, বড়দা মামাদের ধাত পেয়েছি৷ রসকসহীন। ভাগ্যিস তাও সময়মত হারমোনিয়ামটা তুলে পালিয়ে আসতে পেরেছি৷ নাও, আমি মাদুর পাতছি৷ বিছানা থেকে নীচে নেমে এসো।
- হ্যাঁ রে, এই যে বাবার ধাত পেয়েছিস৷ গানের আসরটা বাবার কানের কাছে গিয়েই বসা না৷
- আরে বাবার পাশে তো মাও শুয়ে আছে। মা তো ডেফিনিটলি বাবার ধাত পায়নি৷
- শোন, আগে একটা রফি হোক বরং। হিন্দি।
- বহুত খুব। নেমে এসো।
- ছোটো৷ মনখারাপ?
- সঙ্গীত৷ সঙ্গীত আমার মনের ওপর ভর করেছে৷ এর কোনো খারাপ ভালো হয় না৷
- ছোটো৷ সুতপা তোকে রিজেক্ট করেছে?
- মেজদা। তোমার কপালে আজ সতীনাথ নাচছে। আর আড়াইশো গ্রাম মানবেন্দ্র৷ ধরি?
- ধর৷
No comments:
Post a Comment