- গুপ্ত, শনিবারে একটা জরুরী পার্ফর্ম্যান্স রিভিউ মিটিং রেখেছি। আর রোববার দুপুরে ক্লায়েন্টের সঙ্গে আইসব্রেকিং ইন্টার্যাকশন ফলোড বাই বিজনেস লাঞ্চ। বি প্রিপেয়ার্ড।
- সে কী স্যার, আমি যে প্ল্যান করে বসে আছি দীঘা যাব। দীঘার দীর্ঘ প্রিপারেশনও চলছে।
- দীঘা যাবে? কেন?
- আরে, উইকেন্ড ওয়েস্টার্ন কনসেপ্ট; ওই সব করতে গিয়েই তোমরা বখে যাচ্ছ। এরচে' বরং পঞ্জিকা ধরে উপোষ করলে রক্ত পরিষ্কার হত, মনমেজাজ চাবুক হত।
- কিন্তু স্যার, ওয়ার্কলাইফ ব্যালেন্স বলেও তো একটা ব্যাপার আছে নাকি...।
- ফের ওয়েস্টার্ন কনসেপ্ট। গীতায় আছে কি ওয়ার্কলাইফ ব্যালেন্স ফ্রেজটা?
- ভেবে দেখলে স্যার, রিভিউ মিটিং ব্যাপারটাও কিন্তু ঘোরতর ওয়েস্টার্ন ইয়ে। কী নিয়ে এই পৃথিবীতে এসেছেন বলুন, আর কীই বা নিয়ে যাবেন। সবই যখন ফাঁকি, তখন কীসের রিভিউ, কীসের মিটিং।
- কর্মযোগ তো মিছে নয় ভাই গুপ্ত। সে কনসেপ্ট তো ঘোরতর দিশি।
- দিশি মত তো এ'টাও বলছে স্যার, কাজ করে যাও। ফলের আশা কোরো না। প্ল্যানিং মিটিং হলে তাও ভেবে দেখতাম, কর্মের ব্যাপারে মাথা ঘামানো স্বাস্থ্যকর। কিন্তু পার্ফর্ম্যান্স রিভিউ মানে তো ফলের গুণ-বিচার। সে যে ঘোরতর ভাবে ওয়েস্টার্ন ব্যাপার স্যার। আর ক্লায়েন্টকে বিজনেস লাঞ্চে না ডেকে বিজনেস উপোষ সাজেস্ট করুন। রক্ত পরিষ্কার হবে। রক্ত চুষে খেতে হলে তা ফিল্টার করে নেওয়াই ভালো।
- গুপ্ত। তুমি দীঘা যাও, বুঝলে। খামোখা কথা বাড়িয়ে কাজ নেই।
No comments:
Post a Comment