যা হোক, এই ফর্ম্যাটের রোল-চাউমিনের দোকান কলকাতার রাস্তাঘাটে যত্রতত্র ছড়িয়ে আছে৷ রোলের মধ্যে পাওয়া যাবে এগ, ডবল এগ, এগ চিকেন, ডবল এগ চিকেন আর ডবল এগ-ডবল চিকেন৷ মাটন রোল পাওয়া গেলে বুঝতে হবে এ দোকান একটু উঁচু স্তরের৷ চাউমিনের মধ্যে পাওয়া যাবে ভেজ, এগ, চিকেন আর এগ চিকেন৷ আবার এ'টা উঁচু স্তরের দোকান হলে ডিম-মুর্গির সঙ্গে কুচো চিংড়ি দেওয়া মিক্সড চাউমিনও পাওয়া যাবে। উপরি থাকবে কাচের শোকেস আলো করা চিকেন পকোড়া আর স্টিলের গামলায় রাখা চিলি চিকেন যে'টা পিস হিসেবে বিক্রি হয়।
এ'সব দোকানে আমার পছন্দ হলো গিয়ে চাউমিন; হাফপ্লেট কিন্তু ডবল ডিম দেওয়া৷ স্টিলের প্লেটে চাউমিনের ঢিপি ঘেঁষে দু'টো বিটনুন ছড়ানো চিকেন পকোড়া, যে'গুলো চাটুতে আর একবার সেঁকে তারপর প্লেটে দেওয়া হয়েছে৷ চাউমিনের ওপর ছড়িয়ে দেওয়া হবে চিলিসস, টমেটো সস আর পেঁয়াজ-লঙ্কাকুচি৷ আর সবার ওপরে পড়বে, স্পেশাল রিকুয়েস্টের মাধ্যমে আদায় করে নেওয়া চিলি চিকেনের গ্রেভি৷
এত রাত্রে এ'সব ভেবে জিভ জলে টইটম্বুর। বিস্কুট-চানাচুর ছাড়া আর কোনো গতি নেই৷ কাজেই মন-মেজাজ মারাত্মক উদাস হয়ে পড়েছে৷ ভয় হচ্ছে খসখস করে দু'চারটে কবিতাফবিতা না লিখে ফেলি।
No comments:
Post a Comment