লজ্জাঘেন্না ত্যাগ না করলে সম্ভবত রাজনৈতিক ক্ষমতা আদায় করে নেওয়া যায় না৷ কাজেই তাঁদের আগডুমবাগডুম কথাবার্তায় আকাশ থেকে পড়ার কিছু হয়নি৷ কিন্তু এই "প্রতিবাদ করছেন তবুও মাইনে-বোনাস নেবেন?" গোছের প্রশ্ন যে যতবার করবেন, ততবার জোরালো গলায় "মিথ্যে বলছেন, মানুষকে টুপি পরাচ্ছেন" বলে সরব না হয়ে উপায় নেই৷
ন্যায্য প্রতিবাদকে ঠেকাতে গিয়ে এই সস্তা-মিথ্যে-বাজে যুক্তিটুকু অনেকেই চালিয়ে থাকেন৷ অনেকে আবার এ'টা বলে ভাবেন "বেশ দারুণ স্মার্ট একটা কথা বলে ফেললাম আর কী"। কিন্তু ক্ষমতাসীন মানুষ, বিশেষত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যখন মারাত্মক রকমের আত্মবিশ্বাস নিয়ে এ'সব গুল (আইনের দিক থেকে, নৈতিকতার দিক থেকে, কমনসেন্সের দিক থেকে) ফায়্যার করেন, তখন মনে হয়ে সত্যিই সব রসাতলে গেছে বটে।
এ'ক্ষেত্রে অবশ্য প্রতিবাদীরা নিজেদের প্রতিবাদের পাশাপাশি নিরলস ভাবে মানুষের জন্য কাজও করে চলেছেন৷ তবে ভদ্রলোকের প্রশ্নের উত্তরে অদ্দূর যাওয়ার দরকারটাই বা কী৷ ন্যায্য প্রতিবাদ রুখতে বেতন কাটা আর লেঠেল লেলিয়ে ঘরদোর ভেঙে শায়েস্তা করার মধ্যে খুব বেশি তফাত নেই। এই সহজ-সরল কথাটা না জেনেও জননেতা হওয়া যায়-সে লজ্জা তাঁর নয়, সে লজ্জা আমাদের৷
No comments:
Post a Comment