ইলিশের দাম অত্যন্ত চড়া। কাজেই চোয়াল শক্ত করে, নাছোড়বান্দা আশায় বুক বেঁধে ও জিনিস কিনতে হয়। মাছ বিক্রেতার সঙ্গে সুগভীর বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি করতে পারলে ইলিশে ইনভেস্ট করার সাহসটা একটু বেড়ে যায় বইকি। বিশেষত এই নভেম্বর মাসে ভালো ইলিশ জোটানো চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু সমস্ত কিছু খাপেখাপ পড়লে এ অমৃত অতুলনীয়।
গতকাল আন্ধেরির মাছদাদার দেওয়া আশ্বাসে ভর করে আনা ইলিশটা সাধুভাষায় বললে "জাস্ট মারাত্মক"। বারচারেক রেস্টুরেন্টে খাওয়াদাওয়ার বদলে এমন হাইকোয়ালিটি ইলিশ একবার এনে তিনবেলা খাওয়া ঢের বেশি ভালো; বলাই বাহুল্য যে এ থিওরি একান্তই ব্যক্তিগত।
কালোজিরে কাঁচালঙ্কার বেগুন দেওয়া ইলিশের ঝোল, ও জিনিস দিয়ে আমি রোজকার চেয়ে অন্তত আড়াইগুণ বেশি ভাত খাই। আর সে ঝোলের পাশাপাশি আমার ডাল-ভাজা-তরকারি কিস্যু রোচে না। তবে ইলিশ দিয়ে এক থালা ভাত সাপটে খাওয়ার পর একটা মিঠেপান জমে ভালো। ঈশ্বরের আশীর্বাদ মনের মত একটা পানদাদাও জুটিয়ে নিয়েছি যিনি গুলকন্দ দেওয়ায় বাড়াবাড়ি করেন না এবং অন্যান্য মশলাও চমৎকার ভাবে ব্যবহার করেন। মাসে এক-দুবার শৌখিন পান খাওয়া, তাতে কোনোরকম কম্প্রোমাইজ বরদাস্ত করা যায় না; বিশেষত যদি সে মিঠেপান পোস্ট-ইলিশ আমেজ শান দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়।
No comments:
Post a Comment